পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之 とい নয় বাঙ্গলার গোড়া পত্তন. পারে “যুবক বাংলার অর্থনৈতিক চিন্তা ।” ১৯৩০-৩১ সনে মিউনিকে অধ্যাপনার সময়ে এই বিষয়টার দিকেই বিস্তুততররূপে দেশবাসীর নজর টেনে আনতে চেষ্টা করেছি। “ছিল্টশাফটস-হিস্সেনশাফ ট্রলিখার গেডাঙ্কেনগাঙ ডেসইণ্ডাস জাইট ১৯০৫” ( ভারতীয় অর্থনৈতিক চিন্তা–১৯০৫ সনের পরবর্তীকাল ) নামে জাম্মাণ ভাষায় একটা বই লিখবার মতলব ছিল । তাই এক্ষণে বাংলা ভাষায়—একমাত্র বাঙ্গালীর চিন্তা-বিষয়ক রচনার আকার গ্রহণ করবে । দ্বিতীয়তঃ মাথাপিছু বাঙ্গালীর আয় কত এই সম্বন্ধে অনুসন্ধান চালাতে চাই । এজন্য দরকার তবে জেলায় জেলাস খুটে খুটে তথ্য সংগ্রহ করা। মেহনত লাগবে খুব । অনেক গবেষকের সমবেত কাজ আবশ্যক হবে । তৃতীয়তঃ, দুনিয়ার ধনবিজ্ঞান সাহিত্যের সে সকল ইংরেজ, মাকিণ, ফরাসী, জাৰ্ম্মাণ, ইতালিয়ান ও অন্যান্য জাতীয় বই বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতম শ্রেণীতে পাঠ্যপুস্তক স্বরূপ ব্যবহৃত হয়, তাতার ভিতর গ্রন্থকারদের মৌলিক ( বা স্বকীয় ) কতখানি আর ধার করা ( বা পরকীয় ই বা কতখানি ত৷ জরীপ করে’ বাংলা ভাষায় একখানা বই প্রকাশ করা আবশ্যক। এই দিকেও দেশের লোককে মাথা খেলাবার জন্য ডাকছি। এই ধরণের বই বেরিয়ে গেলে বাঙ্গালী লেখক, পাঠক আর মাষ্টার মশায়রা সহজেই বুঝতে পারবেন যে, বিদেশী গ্রন্থকারদের মতন বাংলাভামায় গ্রন্থকার গড়ে’ তোলবার জন্ত বাংল। দেশকে বিশ পচিশ বৎসর বসে’ থাতে হবে না। বাঙ্গালী জাতি আজই ধনবিজ্ঞান-সাহিত্য সম্বন্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করতে সমর্থ।