পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কোন দিনই পটল তোলাইতে পারিব না। এই যে বৃটিশ ইণ্ডিয়া ষ্টাম দ্যাভিগেশন কোম্পানী আছে তাদের জাহাজে জাহাজে তাল লাগাইতে পারিব না। এই সঙ্গে তার একটা কথা বলিতে চাই। ইংরেজের সম্পদ আজ যা আছে তা বোধ হয় থাকিবে । তা নষ্ট হইবার সম্ভাবনা চোখের সামনে দেখা যাইতেছে না । বরং ভবিষ্যতে আরো বাড়িবে বলিয়াই আমার সম্পূর্ণ ধারণ । আমাদের ভারতের উন্নতি যাকিছু হইতে থাকিবে তা ইংরেজের স্বাথপুষ্টির বিরোধী কিন। সন্দেহ । ইংরেজদের লাভালাভের সঙ্গে সঙ্গেই ভারত-সন্তানের লাভালাভ সুজড়িত । এইরূপই আমি বুঝিতে পাইতেছি । দেশোন্নতির অার একট সীমানার কথা বলা আবশুক । তাজকালকার দুনিয়ায় আমেরিকা, জাৰ্ম্মাণি, ইংল্যণ্ড, ফ্রান্স, এই চার দেশ যা কিছু করিয়াছে, আর্থিক হিসাবে, এঞ্জিনিয়ারিং হিসাবে, রাসায়নিক কারখানা হিসাবে, ব্যাঙ্ক হিসাবে যা কিছু খাড় করিয়াছে, তার কাছাকাছি যাওয়৷ আমাদের যুবক বাংল। বা যুবক ভারতের পক্ষে অনেকদিন পর্য্যন্ত অসম্ভব । এর দুনিয়া চালাইতেছে। আমরা দূরে থাকিয়া দুনিয়া কি ভাবে চলিতেছে দেখিতে পারি, মাথ। যদি থাকে হয়ত কিছু বুঝিলেও বঝিতে পারি। কিন্তু ওদের কাছাকাছি যাওয়া আগামী বিশ ত্রিশ বৎসরের ভিতর কোনমতেই সম্ভবপর নয়। এই সব কথ। হয়ত অনেকের ভাল না লাগিতে পারে। কিন্তু দেশোন্নতির একটা সামান স্বীকার কর। আমার স্বদেশসেবার গোড়ার কথা। এই সব জাতি আজ সমাজের সু-কু, রাষ্ট্রের ভালমন্দ হত্যাদি সম্বন্ধে যে সকল আদর্শ বা কাৰ্য্য-প্রণালী প্রচার করিয়া থাকে, যে ধাপে দাড়াইয়া তারা ফ্যাক্টরির মোসাবিদা করে, ব্যাঙ্কের সংগঠন করে আর আর্থিক জীবনের সংস্কার কায়েম করে, সে ধাপ বুঝা আমাদের পক্ষে অসম্ভব । আমরা সে ধাপের