পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন খাটিতেছে । অপর দিকে মাকিন জাতি যুবক চীনকে টাকা সাহায্য করিয়া একপ্রকার কিনিয়া রাখিয়াছে । ইংল্যাণ্ড ও আমেরিকার বিরুদ্ধে চানকে ক্ষেপানো অনেক সময়-সাপেক্ষ । ইংল্যাণ্ড ও আমেরিক একত্র হইয়। জাপান ও রাশিয়ার সঙ্গে লড়িতে সুরু করিবামাত্র গোট হয়োরোপের মানচিত্র লইয়া টানাটানি পড়িবে । ফ্রান্স যাইবে কোনদিকে : জাম্মাণি যাইবে কোনদিকে ? ইতালি যাইবে কোনদিকে ? ফরাসীর বিরুদ্ধে ইংরেজ জাম্মাণকে টানিয়া লহতে পারে । আবার রুশিয়াও ইংল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে জাম্মাণিকে টানিয়া লইতে পারে । জাম্মাণির শিল্প ও সেনাশক্তি প্রচুর । লড়াইয়ের জাহাজ ছাড়া অন্ত কোনো বিষয়ে জাম্মাণি কোনে ; দেশের নীচে নয় । যে শক্তিই জাম্মাণির সাহায্য লইতে অগ্রসর হউক না কেন,—তাহাকে জাম্মাণির অনেক দাবী হজম করিতে হইবে । এক কোটি জাম্মাণ নরনারী আজকাল পোল্যাণ্ডে, চেকোস্লাহবাকিয়ায়, রুমেনিয়ায়, জুগোশ্লাহিয়ায়, ইতালিতে এবং ফ্রান্সে পরপদদলিত গোলাম । তাহাদের স্বাধীনত জাম্মাণির অন্যতম প্রধান দাবা হইবে । অর্থাৎ জান্মাণি এই সকল "বিজেতা” দেশের বিরুদ্ধে লড়িতে লাগিয়া যাইবে । এক কথায় ১৯১৮ সনের সন্ধিগুলা সবই ছিড়িয়া ফেলা আবশ্যক হইবে । জাপানের বিরুদ্ধে লড়িবার জন্য ইংরেজ অতদুর যাইতে রাজি আছে কি ? রাজি নয় এখনো । এই কারণে ফ্রান্স এবং ইংল্যাণ্ড পুরাণে “আৰ্তাত ” বজায় রাখিয়া চলিতেছে। কুরুক্ষেত্র শাস্ত্র বাধিবার সস্তাবনা নাই । জগতের কোথাও একটা মহালড়াই বাধিবামাত্র ইয়োরোপে কিরূপ ভজকট সুরু হইবে তাহার একটা ছোট দৃষ্টান্ত দিতেছি । অষ্ট্রিয়ায়