পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ভারতের উপর খুব বেশী প্রভাব বিস্তার করিতেছে। এতে আমাদের আর্থিক জীবন কি রকম ভাবে প্রভাবান্বিত হইয়াছে হইতেছে ও হইবে অতি সামান্ত ভাবে তার দুই একটা দৃষ্টান্ত দিয়া যাইতেছি । ইংরেজ বুঝিয়াছে যে ভারতবর্ষকে আর্থিক হিসাবে কিছু মজবুত করিয়া না তুলিলে তারা আর বাচিতে পারিবে না। অর্থাৎ ভারতবাসীকে এঞ্জিনিয়ার হিসাবে, রাসায়নিক হিসাবে, যন্ত্রবীর হিসাবে, চাষী হিসাবে ওস্তাদ না করিয়া তুলিলে, ব্যাঙ্ক পরিচালন হিসাবে তাহাদিগকে খানিকটা প্রশ্ৰয় না দিলে, জাপানের বিরুদ্ধে, রুশিয়ার বিরুদ্ধে, তুর্কীর বিরুদ্ধে যখন বৃটিশ সাম্রাজ্যের লড়াইয়ের প্রয়োজন হইবে তখন ইংরেজ ফেল মারিতে বাধ্য। এই প্রথম কথা। কথাটা প্রধানতঃ রাষ্ট্রনৈতিক, আন্তর্জাতিক, সামরিক । কিন্তু আমি ওদিক থেকে কিছু বলিতে চাই না। ঘোড়াকে দিয়া যদি গাড়ী টানাইতে হয় তা হইলে তার খোরপোম দেওয়া আবশ্যক । ঘোড়াকে মারিয়া ফেলা কোনো ঘোড়াওয়ালার উদ্দেশ্য হইতে পারে না । তেমনি ভারতের পল্লী ও শহরগুলি যদি মজবুত তই ন উঠে তাহইলে যথার্থ কাজের সময় বৃটিশ সাম্রাজ্যের ক্ষমত একেবারে পঙ্গু হইয়া যাইবে । আমার বক্তব্য হইতেছে এই যে, বৃটিশ সাম্রাজ্যের বা ইংরেজ জাতির এই স্বার্থের ভিতর ভারতবাসীর স্বার্থও প্রচুর । ভারতের মধ্যে যদি কোন হুসিয়ার লোক থাকে সে লোক এই শক্তিটাকে নিজ কাজে লাগাইতে পারিবে । আমাদের যারা এঞ্জিনিয়ার, ব্যবসাদার, ব্যাঙ্কার, চাষ-ব্যবসায়ী, জমিদার, তারা এই সুযোগে নতুন কিছু দাড় করাইবার সুবিধা পাইতে পারেন। এই শক্তি সম্বন্ধে যদিও আমরা সজাগ নই তবু আমার বিবেচনায় এটা একটা বিপুল শক্তি । SS SSAAASAAA SASAASAASAASAASAAAS AAAASS * جہتی AA Aee AMeAeeAMSMSeMMASAMAAAA