পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জীবনে পরের ধাপ ২৭৯ ভারতীয় ও বৃটিশ শুষ্ক-নীতি আপনারা জিজ্ঞাসা করিতে পারেন, “কি কি লক্ষণ দেখিতেছ যাতে আমরা ভাবিতে পারি যে, বাস্তবিক পক্ষে ভারতবর্ষকে পোক্ত করিয়া তোলা ইংরেজরা নিজের স্বাৰ্থ বিবেচনা করে ? গোটা কয়েক তথ্যের উল্লেখ করিব। প্রথমতঃ শুস্ক-নীতি—(১) ভারতবর্ষের শুল্ক-নীতি, (২) ইংরেজের শুল্প-নীতি। ভারতবর্ষের শুল্ক-নীতিতে দেখিতে পাই “সংরক্ষণ শুল্ক” নামক বস্তু একরকম দাড়াইয়া গিয়াছে বা যাইতেছে। আমাদের দেশে ছাপাখানার কাগজ, বই লিখিবার কাগজ যে যে ফ্যাক্টরীতে তৈয়ারা হয় তাকে বাচাইবার জন্য সংরক্ষণ-শুল্ক বসানো হইয়াছে পাউণ্ডে এক আনা । তারপর টিন প্লেটের কারবার বঁাচাইবার জন্য ংরক্ষণ-শুল্ক আছে। দিয়াশলাইয়ের শিল্পেও সংরক্ষণ বসিয়াছে। লোহ লক্কড়ের ব্যবসাকে বাচাইবার জন্য চেষ্টা চলিতেছে। যাতে এদেশে কতকগুলি কারবার দাড়ায় এবং তাতে কতকগুলি লোক, যেমন এপ্লিনিয়ার, কেমিষ্ট ইত্যাদি পটুত্ব লাভ করে তা দেখা বৃটিশ সাম্রাজ্য-পুষ্টির একটা অঙ্গ । তা ছাড়া কোন কোন তাত শিল্প, বয়ন শিল্পের জন্ত বিদেশ থেকে যন্ত্র আনিতে হয়, না আনিলে চলে না । সেই যন্ত্রপাতি যদি সস্তায় পাওয়া যায় তা হইলে আমাদের শিল্প-বৃদ্ধির পক্ষে সুবিধা হয়। তাত শিল্পের যন্ত্রপাতির জন্ত আগে যেখানে শতকরা ১৫ টাকা শুল্ক দিতে হইত এখন সেখানে ২॥০ টাকা দিতে হয়। এই শুল্ক-নীতি আমাদের দেশের কোন কোন কারবারকে ফুলাইয়া তুলিয়াছে। এইবার বৃটিশ শুষ্কনীতির দিকে তাকানো যা। ইংরেজের মাথায় ঢুকিয়াছে তার স্বপক্ষে ভারতবাসীকে পক্ষপাতী করাইতে হইবে। ইংরেজ তার লোহালক্কড় সস্তায় বেচিবার জন্য আমাদের ভজাইতে চেষ্টা করিতেছে, একথা ঠিক। কিন্তু অপর দিকে, আমাদের কোন কোন জিনিষও " ر " یا تسمیه هایی می به "می به گی مساس مست۴ = “بر ۔ ۳ار ہ؟ مس. گیخته گاماسی