পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জীবনে পরের ধাপ २b”७ বলি ত হইলে বেশী বলা হয় না। বিদেশে যারা এজেন্সী কায়েম করিয়াছে তারা প্রত্যেকে কোটিপতি নয়। খুব কম খরচে দুনিয়ায় কারবার চালাইতে পারা যায়। মাসিক হাজার টাকায়ও একটা আড়ৎ চলিতে পারে। হুসিয়ার লোকদের মনে রাখা উচিত যে, আড়ৎ কায়েম করা একটা বড় ব্যবস । যানবাহনের ব্যবসা এখন অন্তৰ্ব্বাণিজ্য সম্বন্ধে কয়েকটা কথা বলিব । গোটা ভারতে কোটি কোটি টাকার মাল চলাচল করে। আমাদের মতন মামুলি লোকের বিবেচনায় লাখটাকা লাখটাকা দু’কুড়ি দশ টাকা । কাজেই মোট মোটা টাকার তোড়ার কথা বলিতে চাই না । অন্তৰ্ব্বাণিজ্যের এমন একটা দিকের নাম করিতে চাই যেটা সম্বন্ধে আমাদের ধনী লোকেরা সাধারণতঃ কখনও বেশী ভাবেন না, বা এত কম ভাবেন যে, তাকে ভাবনার মধ্যেই গণ্য করা চলে না। আমরা জানি যে, বরিশালের মাল কলিকাতায় আনিয়া বেচা হয়। আবার কলিকাতার বিদেশী মাল ময়মনসিংহ, জলপাইগুড়ি ইত্যাদি অঞ্চলে যায়। এই কেনা-বেচাই কি বাণিজ্যের একমাত্র অঙ্গ ? না । আর একটা অঙ্গ রহিয়াছে সেদিকে সাধারণতঃ আমাদের নজর পড়ে না। মালটা যায় কি করিয়া ? যাতায়াতের পথ, গমনাগমনের সুযোগ, যানবাহন নামক বস্তু একটা বিপুল ব্যবসার সামগ্রী। তাতে কোটি কোটি টাকা খাটে, লাভও হয় তদ্রুপ। বিদেশীরা লাভ করে এই পথে বিস্তর। এই ব্যবসাটার সাদা ইংরেজি নাম ট্রান্সপোর্ট । মালপত্র চলাচলের সুবিধা যারা করে তারা বড় মোট হারে লাভ করে। একথা বাঙ্গালীর মগজে বসা আবশ্যক। সহজেই প্রশ্ন উঠিবে, গরুর গাড়ীর গাড়োয়ান মাঝিমাল্লা এরাই আমাদের যাতায়াতের সুবিধা করিতেছে । এতে টাকাই বা কোথায় আর লাভই বা কোথায় ? ~్మ S S SJSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS AAAAAA