পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবক বাঙলার কৰ্ম্মক্ষেত্র २¢ so. চলিতেছে বহুকাল ধরিয়া অর্থাৎ ১৯১৯ সনের পর হইতে—“বৃহত্তর জাৰ্ম্মাণি’র আন্দোলন । বহুসংখ্যক অষ্ট্রিয়ান জননায়ক অষ্টিয়াকে জাৰ্ম্মাণির সঙ্গে জুড়িয়া দিতে চাহেন। অষ্ট্রিয়ার শিল্প-আইন, বাণিজ্যবিষয়ক আইন, শুল্কবিধি,—সবই জাৰ্ম্মাণ নিয়মে আস্তে আস্তে পরিবৰ্ত্তিত করা হইতেছে । যদি কখনো জাৰ্ম্মাণির সঙ্গে অষ্ট্রিয়ার পুরাপুরি সংযোগ সাধিত হয় তাহা হইলে আষ্ট্রয়ার নরনারী আইনত: নতুন কিছু ঘটিল বলিয়া বিস্মিত হইবে না। কিন্তু এইরূপ বৃহত্তর জাম্মাণির তেজ সহ করিবে কে ? না ফ্রান্স, না ইংল্যাগু না বন্ধান অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলা, না ইতালি । কেহই এই জাৰ্ম্মাণ শক্তি হজম করিতে পারিবে না। কাজেই সকলেরই সমবেত স্বার্থ হইতেছে অষ্ট্রিয়ায় জাৰ্ম্মাণিতে সংযোগে বাধ। দেওয়া । অথচ যেই জাম্মাণি কোনো মহালড়াইয়ের কোনো পক্ষে দাড়াইবে তৎক্ষণাৎ জাৰ্ম্মাণ শক্তি ইয়োরোপে লঙ্কাকাণ্ড করিয়া ছাড়িবে। ইতালি সেই ভয়ে জড়সড় । দক্ষিণ টিরোলের জাম্মাণ নরনারাকে গোলাম করিয়া রাখিয়৷ ইতালি জাম্মাণির ভয়ে ঘুমাইতে পারে না। ইতালি যদি ইংল্যাণ্ডের পক্ষে যায় তাহ হইলে জাম্মাণিকে ইংল্যাণ্ড স্বপক্ষে পাইবে না। এদিকে ভূমধ্যসাগরের রাষ্ট্রনীতি যেরূপ বিচিত্র তাহাতে ইতালি ইংল্যাণ্ডের স্বপক্ষে থাকিবারই সস্তাবনা । কেননা আফ্রিকার উত্তরকুলে তুনিস লইয়া ফ্রান্সে ইতালিতে খাওয়া-খাওয়ি খুব বেশী। তুনিস ফরাসী উপনিবেশ বটে। কিন্তু এই উপনিবেশে শ্বেতাঙ্গ নরনারীর ভিতর ইতালিয়ানরাই ফরাসীদের চেয়ে গুণতিতে বেশী। ফরাসী গবর্ণমেন্ট তাহা সত্ত্বেও গোটা উপনিবেশে “ফরাসী-করণ” নীতি চালাইতেছে । ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইতালি এবং ইংল্যাণ্ড দলবদ্ধ হইতে পারে । কিন্তু জন্মাণির ফকির