পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জীবনে পরের ধাপ సెరి ASAAAAS AAAAA MeeA AMAAAA AeAAA AAAA AAAA AAAA AAAAeA AeeAMeeA AMAMMMMAeAAA AAAAA শত শত বা হাজার হাজার বিঘার মালিকেরা নয়। ঢঙের জমিদার দাড়াইয়া যাইতে পারিবেন। এই বিষয়ে যুবক বাঙলার মাথা খেলানো অন্তায় হইবে না । প্রথমেই চাই যন্ত্রপাতি। তারপর চাই সার । আমাদের গোবরের সারে আর চলিবে বলিয়া বিশ্বাস হয় না। বাঙলার গরুগুলা খায় কি ? তার আবার গোবরের কিন্মৎ কতটুকু ? চাই রাসায়নিক সার। এই দুয়ের জন্ত নগদ টাকা ঢালিতে হইবে—বলাই বাহুল্য। জাৰ্ম্মাণিতে মামুলি জমিদার অর্থাৎ রাইয়ত-শাসক রাজাবাহাদুর আর নাই। অথচ জমিজমার আয় হইতেই লক্ষপতি লোক আছে অনেক । এই সব লোক মজুর বাহাল করিয়া হাজার হাজার বা শত শত বিঘার জমিতে শাক শক্ত হইতে ফলমূল, গম, ভূট্টা পৰ্য্যন্ত সবেরই আবাদ চালায়। তাহার সঙ্গে থাকে গরু, শূয়র, মৃগী, মৌমাছি ইত্যাদির “চাষ” । দুধ, মাখম, পনির, ডিম, মাংস ইত্যাদি সবই উৎপন্ন হয় । নিজের কারবার তদবির করে, রোজ আট-দশ-বার ঘণ্টা করিয়া খাটে। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, ফ্যাক্টরির ম্যানেজার ইত্যাদি শ্রেণীর লোক যেমন করিয়া যতখানি খাটে জমিদারেরাও ঠিক তেমন করিয়া ততখানি খাটিতে অভ্যস্ত। এই অভ্যাস আমাদের বাঙালী জমিদার সমাজে পয়দা হইয়৷ গেলে চাষ ব্যবসাটা আধুনিকতা লাভ করিতে পারিবে। আর সঙ্গে সঙ্গে কৃষিকৰ্ম্মে প্রচুর উপার্জনও চলিতে থাকিবে। তবে এই ব্যবসা সাধারণ লোকের হাড়ে পোষাইবে না। যে সকল ব্যক্তি দুই চার বৎসর টাকা রোজগার না করিয়াও কারবারে টাকা ঢালিতে পারেন একমাত্র র্তাহাদের পক্ষে এই ধরণের নবীন চাষ বাঙালী জাতিকে উপহার দেওয়া সম্ভব ।