পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミぬ8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন খদরে টাকা রোজগার মামুলি পাড়াগেয়ে “কুটির-শিল্পে" যুবক বাঙলার ভাত কাপড় জুটিতে পারে কিনা তাহার কিছু আলোচনা করা আবশ্যক। আমার বিশ্বাস এই দিকে আমাদের অনেকের কিছু কিছু দৃষ্টি থাকিলে ভাল হয়। টাকা রোজগারের পথ হিসাবে কি লিখিয়ে-পড়িয়ে লোক আর কি অন্যান্য শ্রেণীর লোক সকলেরই এই সম্বন্ধে মাথ। খেলানো উচিত । যক্ষ্ম-নিষ্ঠা আর যন্ত্ৰ-দৰ্শন যুবক বাংলায় আর্থিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির প্রধান উপায় সন্দেহ নাই। কিন্তু মনে রাখিতে হইবে যে “হস্ত-নিষ্ঠ।” আর “হস্ত-দর্শন” আজও দুনিয়ার উচ্চতম দেশসমূহ হইতে সমূলে লোপাট হইয়া যায় নাই । আজও ইয়োরামেবিকার সৰ্ব্বত্র হাতের কাজ, কৃটিরশিল্প, পরিবার-গত ছোট-খাটে। কারবার চলিতেছে। চরম ভবিষ্যপন্থী ধনবিজ্ঞান-দক্ষ পণ্ডিতের আজও এই সবের স্বপক্ষে “যথাস্তানে” আর “নিদিষ্ট সীমানার ভিতর’ রায় দিতে লজ্জিত বোধ করেন না । দুনিয়ার সাগরে সাগরে দেখিয়া আসিয়াছি পালের জাহাজ আজও হাওয়ার জোরে চলিতেছে। অর্থাৎ বিজলী, গ্যাস, কেরোসিন তেল আর ডজেল মোটর এখনও ধরাখানাকে মামুলি মধ্যযুগের আর্থিক জীবন হইতে পুরাপুরি মুক্তি দিতে পারে নাই । ইতালির কোনো কোনো পল্লীতে মেয়েরা আজও ঘাড়ে বাক বহিয়া বালতি বালতি জল টানে । আর ব্যাহেবরিয়ার মফঃস্বলে মফঃস্বলে গরুর গাড়াও একটা চোখে পড়িয়াছে। ফ্রান্সের ওৎলোয়ার জেলায় প্রায় আশী হাজার লোক তাতের তৈয়ারি ফিতার কাজে প্রতিপালিত হয় । মেয়েরা এই শিল্পে ওস্তাদ । শিল্পটার কিছুকাল ধরিয়৷ দুৰ্গতি চলিতেছিল। প্যারিসে থাকিবার সময় লক্ষ্য