পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ、>や নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন টাকার খদ্দর বিক্ৰী হয় । খদ্দর তৈয়ারি হয় মাসিক ১৩ হাজার টাকার । এই কারবারটা বর্তমান জগতের হিসাবে বড় কিছু নয়। কিন্তু যুবক বাংলার আর্থিক মাপকাঠিতে ইহাকে একটা উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব বিবেচনা করিতেই হইবে । অধিকন্তু “খাদি-প্রতিষ্ঠানের” অঙ্ক হিসাব করিয়া দেখিয়াছি যে, ১৯১১ সনের তুলনায় আজ খন্দরের দাম কমিয়াছে প্রায় অদ্ধেক । অপর দিকে খদ্দর টেক্সই হইয়াছে ডবল। অর্থাৎ এই চার পাচ বৎসরে খন্দরের উন্নতি চার গুণ । খন্দরের কারবারে একদিক হইল শিল্পের তরফ অর্থাৎ মালটা তৈয়ারি করা, অপর দিক হইতেছে ব্যবসা বা বাণিজ্য । অর্থাৎ বাজারে মাল ফেল, ফেরি করিয়া বেচা, দোকান করা, হাটে যাওয়া এই কারবারের দ্বিতীয় দফা। সুতরাং খন্দরে একমাত্র তাতী, জোল অথবা শীতকালের অবসরওয়ালা চাষীর অন্ন সংস্থান ঘটতেছে এরূপ বিশ্বাস করা উচিত নয় । ইহাতে ব্যাঙ্ক-ব্যবসার আর ষ্টোসের যোগাযোগও আছে। অর্থাৎ সম্বরে নর-নারীর, এম, এ, বি, এল, ইত্যাদি পাশ-ফেলকরা লোকের মেহনৎ আর আয়ের পথও আছে। খন্দরের কারবারটা ভাল করিয়া চালাইতে পারিলে নানা শ্রেণীর অনেক বাঙালীরই দু’পয়সা আসিতে পারে। এই জন্ত খন্দরের কথা পাড়িলাম। কিন্তু কলের কাপড়ের সঙ্গে খদ্দর দাম হিসাবে অথবা গুণ হিসাবে টক্কর দিতে পারিবে কি না সে কথা স্বতন্ত্র। বাঙলাদেশের লোক আমরা যতই গরীব হই না কেন, আমাদের প্রায় প্রত্যেক পরিবারেরই কোনো না কোনো দিকে কিছু না কিছু বিলাসভোগ আছে। বিলাসের অর্থ সোজা। হয় অপেক্ষাকৃত অনাবশুক জিনিষ খরিদ করা হইয়া থাকে, অথবা হয়ত দরকারী জিনিষের জন্য অপেক্ষাকৃত বেশী দাম দেওয়া হয় । এক কথায় আর্থিক হিসাবে বিলাসের অর্থ অপব্যয় । খদ্দরকে আমি