পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર૭ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সেই দলে জাৰ্ম্মাণি আসিবামাত্র পোল্যাগু, চেকোশ্লাহবাকিয়া ইত্যাদি দেশগুলা গুড়া হইয়া যাইবে । সেই সূত্রে ইতালির উত্তর সীমানা রক্ষা কর। সম্ভবপর হইবে না। কাজেই ইংরেজদলের স্বপক্ষে জাৰ্ম্মাণির যোগ দেওয়া এখনো সম্ভবপর নয় । ইংরেজকে অনেক ভাবিয়া দেখিতে হইবে । জাম্মাণি দুনিয়ার গতিবিধি দেখিয়া মস্ত “দ৷ ” মারিবার ফিকিরে র্ট ঢ়িতেছে। দুনিয়ার রাষ্ট্রমণ্ডল এখনো লড়াইয়ের জন্ত পাকিয় উঠে নাই। তবে ঠিক কখন পাকিয়া উঠ উঠ হইল তাহা বুঝিতে পারিবে একমাত্র বিশ্বশক্তির সমঝদারের। সেই বিশ্বশক্তির গবেষণা যুবক বাঙলায় শুরু হউক বিস্তুত, গভীর ও নিয়মবদ্ধরূপে । “বন্ধান-চক্র” ও যুবক বাঙ্গল। ইয়োরামেরিকান অর্থাৎ পাশ্চাত্য নরনারীর জীবনযাত্রা ও সভ্যতাকে যুবক বাঙলার মুঠার ভিতর রাখিয়। কাজে নামিতে হইবে। ইহাই হইল আগাগোড়া আমার সমাজ-দর্শন । ইহ ই আমার বিচারে দেশোন্নতি আর আর্থিক উন্নতির রাষ্ট্রনীতি । কিন্তু পাশ্চাত্য বলিলে কোনো একটা দেশ বা ঐক্য গ্রথিত সামঞ্জস্তাশীল জনসমাজ বুঝিতে হইবে না। ইয়োরামেরিকার দেশগুলার ভিতর বামুন শৃদ্ধর ফারাক আছে বিস্তর। এই ফারাকগুলা ভারতবর্ষে একপ্রকার আলোচিতই হয় না । পশ্চিমারাও যখন ভারতে অথবা এশিয়ায় পাশ্চাত্য সভ্যতার মন্তিম কীৰ্ত্তন করে, তখন তাহারা তাহাদের মহাদেশের ভিতরকার উচুনীচু স্তরগুলা,ছোট বড় মাঝারি জাতগুলা ইত্যাদি পার্থক্য সম্বন্ধে টু শব্দ করে না । ইয়োরোপের পয়তাল্লিশ কোটি নরনারী সকলেই যেন সমান শিক্ষিত সমান শিল্পদক্ষ, সমান কৰ্ম্মদক্ষ, সমান সভ্য ইত্যাদি ধারণা সাধারণতঃ সৰ্ব্বত্রই প্রচারিত কইয়া থাকে। এই ভুল ধারণার বিরুদ্ধে আমি অনেক দিন ধরিয়া দেশ-বিদেশে আলোচনা