পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জীবনে পরের ধাপ ○oaN মহানুভব, শ্রেষ্ঠ স্বদেশহিতৈষী ব্যক্তিদের অন্যতম, কাশিমবাজারের পরলোকগত মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা। স্বগীয় মহারাজা ১৯০৫ খৃষ্টাব্দে কলিকাত টাউনহলে জাতীয়তাবাদীদিগের সভায় ইতিহাস-প্রসিদ্ধ বিদেশী পণ্যবর্জনের আন্দোলন সৰ্ব্বপ্রথম ঘোষণা কবিয়া যুবক বাংলার সৃষ্টি বিষয়ে সহায়তা দান করেন। ঐ সময় হইতে যুবক বাংলা রাজনীতি অর্থনীতি ও অন্যান্ত সাধারণ ক্ষেত্রে প্রতিভার পরিচয় প্রদান করিয়া ক্রমাগত কীৰ্ত্তি অর্জন করিতেছে। আজ বঙ্গদেশে যা-কিছু শিল্পের উদ্ভব হইয়াছে, আজ যে সকল বস্ত্র ও চটকল, কয়লার খনি রাসায়নিক কারখানা, চা-বাগান, ব্যাঙ্ক ও অন্যান্ত মহাজনী প্রতিষ্ঠান, জীবনবীমা কোম্পানী, শ্রমজীবী-সঙ্ঘ প্রভৃতি দেখ! যাইতেছে, সেগুলি প্রধানত: ১৯০৫ সনের দেশপ্রসিদ্ধ স্বদেশী আন্দোলন হইতে উৎপত্তি লাভ করিয়াছে । আমাদের এ কথ। ভুলিলে চলিবে না যে, যন্ত্র ও হাতিয়ার প্রস্তুত বিষয়েও বাঙ্গালী এঞ্জিনিয়ার ও মিস্ত্রীরা উল্লেখযোগ্য গুণের পরিচয় প্রদান করিতেছেন । আন্তর্জাতিক জগতে বাঙ্গালীর নানা প্রকার কৃতিত্ব স্বীকৃত হইতেছে । শিল্পের ক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে যে সকল মেলা, প্রদর্শনী প্রভৃতি স্মৃষ্টি করিতে সমর্থ হইয়াছি, তাহা সমসাময়িক শিল্প-জগতে হয়ত ছেলেখেলা মাত্র। কিন্তু প্রথমেই একথা সম্পূর্ণরূপে সদয়ঙ্গম করা বাঞ্ছনীয় যে, কেবলমাত্র জগতের প্রধান প্রধান ব্যবসায়ী জাতির তুলনায় বাঙ্গালীরা শিল্প ও স্বষ্টি-কৌশল বিদ্যায় নিকৃষ্ট । বুলগেরিয়া, রুমাণিয়া, পোলাগু ও অন্তান্ত বন্ধান দেশ, পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণ ইয়োরোপ এবং রুশিয়া—এ সকল স্বাধীন স্থানের তুলনায় বাংলা একেবারে নগণ্য নহে। প্রকৃতপক্ষে শিল্প-বিষয়ে ইয়োরোপের শতকরা ৬০ জন লোকের অবস্থা আল্লাধিক পরিমাণে বাঙ্গালীদের অবস্থারই মত ।