পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থিক জীবনে পরের ধাপ ৩১১ গুজরাটী, ভাটিয়া পার্শদিগের সমকক্ষ হইতে হইবে । কেবল তাহা নহে, যুবক বাংলাকে শিল্প-ব্যবসা বিষয়ে বৈদেশিক উচ্চ আদর্শ অনুসারেও চলিতে হইবে । আমাদের লক্ষ্য নির্দিষ্ট হইয়াছে, উপায়ও অস্পষ্ট নহে। ১৯০৫ সনের আন্দোলনে যে সকল ভাব সুচিত হইয়াছিল ঐগুলির মধ্যেই যুবক বাংলার প্রধান শিল্প-নাতি নিহিত আছে । স্বদেশী আন্দোলনের সকল প্রকার আবহাওয়ার মধ্যেই শিল্প ও ব্যবসার আগ্রহ বদ্ধমূল ও প্রসারিত হইতে পারে । দ্বিতীয়তঃ, যুবক বাংলার পক্ষে সরকারকে জাতায় শিল্পের সাহায্যার্থে অগ্রসর হওয়ার জন্য বাধা করিতে হইবে । আধুনিক ও মহাযুদ্ধের পরবর্তী নীতি অনুসারে রাষ্ট্রীয় সাহায্যের পুনব্যাখ্যা করিতে হইবে । কেবলমাত্র অনুসন্ধান, প্রচার, পরীক্ষামূলক কায। প্রভৃতি এই কার্য্যের অন্তর্গত হইবে না। সরকারের ব্যবসা-সংক্রান্ত কাৰ্য্য, সরকার কত্ত্বক ব্যবসার পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ, গঠনমূলক শুল্ক, ব্যবসা-সংক্রান্ত কার্য্যে মিউনিসিপ্যালিটার ক্ষমতার প্রসার, শিল্প ব্যবসার সকল প্রকার আর্থিক সাহায্য প্রভৃতি বিয়য়গুলিও ঐ কায্যের অঙ্গীভূত হওয়া উচিত । আমি এখানে কেবলমাত্র এই আভাস দিতেছি যে, কৃষি-সংক্রান্ত ও অন্যান্য অপেক্ষাকৃত উন্নত রকমের যন্ত্র-পাতি অবিলম্বে জিলায় জিলায় প্রস্তুত হওয়া উচিত। এই সকল যন্ত্রপাতির চাহিদ প্রবল এবং ঐগুলি দেশের কারিগর ও মিস্ত্রা দ্বার সহজেই প্রস্তুত হইতে পারে । তৃতীয়তঃ, কলিকাতায় ও বাংলার অন্যান্ত ব্যবসাপ্রধান অঞ্চলে “শিল্পপুজিসঙ্ঘ” স্থাপনের সময় উপস্থিত হইয়াছে। অর্থাভাববশতঃ যে সকল ব্যবসা উন্নতিলাভে সমর্থ হইতেছে না, সেগুলিকে অর্থ-সাহায্য প্রদান করা ঐ সকল সজেঘর প্রধান কাজ হইবে । তরুণ বাংলার কতিপয় ব্যবসায়ী