পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○> や নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন يقيسيا জাৰ্ম্মাণীতে একজন মস্ত বড় কবি ও নাট্যকার জন্মেছেন, যার জোরে যুবক-জাৰ্ম্মাণীর জীবনে ফোয়ার ছুটেছে—নাম তার শিলার । তার নাট্য, জগতের অদ্বিতীয় নাট্যশ্রেণীর অন্যতম বটে। কিন্তু দান্তে যে হিসাবে জগতের পহেলা নম্বরের কবিদের মধ্যে অন্যতম, শিলার সে হিসাবে বড় হতে পারেন নি। আমার বিবেচনায়,—দান্তে ছাড। আর কেহ এক সঙ্গে স্বদেশসেবক আর পহেল। নম্বরের কবি নন । স্বরাজ-সেবক বা স্বাধীনতার পুরোহিত হ’লেই যে কবি হিসাবে কেত আমব তবে, তা বল। চলে ন! | | 9 ) আমাদের ক্ষীরোদপ্রসাদের কাব্যে এবং সাহিত্যে রকমারি জিনিষ আছে । তার ভিতর একটা জিনিস স্বদেশ-সেবা ও স্বরাজ-সাধনার কথা । লোকের স্বদেশ-সেবক না হলেও কাব্যের ভিতর, সাহিত্যের ভিতর, উপন্যাসের ভিতর স্বদেশের কথ। প্রচার কবতে পারে । কিন্তু ক্ষীরোদপ্রসাদ নিজে স্বদেশ-সেবক ও স্বরাজ-সাধক ত বটেনই । তার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কাব্য-সাহিত্যে স্বরাজ-সাধনার প্রেবণ। হাজার হাজার ছড়িয়েছেন । কিন্তু স্বদেশ-সেবার কথা প্রচাব করার জোরেই কোনো লোক জগতে অদ্বিতায় সাহিত্যবার, কবি ব| নাট্যকার হতে পেরেছে কিনা জানি না । এখানে একটি দুষ্টান্ত দিব। প্রায় একশ’ বৎসর লাগে ফ্রান্সে একজন নাট্যকার ছিলেন, তিনি স্বদেশ-সেবক ও কবি । তার সাহিত্য অতিমাত্রায় বিপ্লব-পস্থা । নাম দলাভিন । কিন্তু এই নামটি পর্য্যন্ত অনেকে শুনেন নি । মাদ্রাজে অস্পৃশ্ব পারিয়া নামে যে জাতি আছে, তার সম্বন্ধে তিনি নাটক লিখেছেন । উদ্দেশ্য এই – ফ্রান্সে যে বিপ্লব-যুগ চলেছে একটা বিদেশী জাতির চরিত্র দিয়ে তিনি তা ফুটিয়ে তুলবেন ।