পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পূজা ৩১৭ অবিচার, অত্যাচার আর ব্যভিচারের বিরুদ্ধে কি ভাবে বিপ্লব চালাতে হয়, তিনি নাটকে তার প্রতিমূৰ্ত্তি দিয়েছিলেন ( ১৮২১ ) । স্বদেশ-সেবায় অনুপ্রাণিত করেছে এমন অনেক নাটক জগতের সাহিত্যে আছে। নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুবক-জাৰ্ম্মাণীকে কেমন করে’ ক্ষেপিয়ে তুলতে হয়, জাম্মাণ কবি ক্লাইষ্ট তাহা ভাল জানতেন। জাম্মাণীতে তার গান ছাড়া কোন কাজ চলত না । কিন্তু তার নাম আজ কয়জনে জানে ? তিনি একাধারে স্বদেশ-সেবক ও সাহিত্যসেবা ছিলেন । ফরাসার “ল্য পারিয়া” নাটকও উচ্চ অঙ্গের নাট্য বটে, তা সত্ত্বেও সেট। ক্লাইষ্ট পর্য্যন্ত গিয়ে পৌছে নি। ফরাসী নাটকট দ্বিতীয় শ্রেণীর কাব্য। তবে যে বলছি,- আমাদের ক্ষীরোদপ্রসাদ বৰ্ত্তমান যুগের সব্বশ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকারদের মধ্যে অন্যতম, সেটা কোন মাপকাঠিতে ; স্বদেশসেব। আর স্বদেশসেবাবিষয়ক সাহিত্য-রচনার মাপকাঠি প্রথমেই বজ্জন করে” নেওয়| গেল । কবিতা জিনিষটা ইতিহাস নয়—এই কথাটা প্রথমে বুঝা দরকার। কবিতা জিনিষ চৈতন্য-চরিতামৃতের দোই নয়, উপনিষদের স্বত্ত নয়, কোন রাজনৈতিক দশনের ব্যাখ্যা নয়। সাহিত্য জিনিসটার ভিতর অর্থশাস্ত্র কিংবা সমাজ-শাস্ত্র কিম্বা ইতিহাস কিম্বা এই ধরণের জিনিষ খুজতে যাওয়া কোন কোন লোকের মজ্জি হ’তে পারে । কিন্তু তাহার জোরে কোনো রচনা, কবিতা বা সাহিত্য দাড়ায় না। ক্ষীরোদপ্রসাদের দুনিয়ায় কথা-বস্তু অনেক আছে সেকাল-একাল, আছে হিন্দু-মুসলমান, আছে বাঙ্গালী-অবাঙ্গালী, আছে হাসি-ঠাট্ট-ছ্যাবলামি, আছে গুরুগাম্ভীর্য । ক্ষীরোদপ্রসাদের বই পড়ে কেহ মধ্যযুগের বাংলা বুঝতে চেষ্ট করে। কেহ বৰ্ত্তমান সাওতাল, ডোম, বাগ দীর ইতিবৃত্ত জানতে চেষ্টা করে। কেহ ইতিহাস হিসাবে, কেই সমাজতত্ত্ব হিসাবে, কেহ পুরাণ