পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○>br নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন হিসাবে, কেহ বেদান্ত-দশন হিসাবে, কেহ বৈষ্ণবতত্ত্ব হিসাবে ক্ষীরোদসাহিত্যের ভিতর এক একটা চরিত্র দেখ তে চেষ্টা করেন । আমি বলি সে সব দেখা যায় ব’লেই ক্ষীরোদপ্রসাদ অমর হয়েছেন তা নয়, অথবা অমর থাকবেন তাও নয়। এসব থাক ন থাক। অবান্তর কথা । এই ব্যক্তির অমরতার আসল ভিত, অন্যত্র "ড়তে হবে । সেটা এই—সাহিত্য এবং কাব্য জিনিষটার একটা স্বাধীনতা ও স্বরাজ । অর্থাৎ সাহিত্য জিনিষটা কোন ইতিহাসের জ্ঞানের উপর দাড়িয়ে নিজের অস্তিত্ব জারী কবে না। কবি জিনিম দশনের উপর দাড়িয়ে নিজের অস্তিত্ব প্রচার করে না । যেমন ব্যক্তি-জগতের স্বাতন্ত্র বা স্বাধীনত আছে, যেমন மு: বস্তু-জগতের স্বাতন্ত্রা আছে তেমনি শিলেব ও স্বাতন্ত্রা, সাহিত্যেরও স্বাতন্ত্র্য আছে । ( & ) কাব্য এবং সাহিত্যের স্বাত্য বা স্বরাজ পাকড়াও করতে পারি কোন বিশেষতের ভিতর ? তাহারই আলোচনা কবছি। সংস্কৃত কাব্যের মুদ্র-রাক্ষস, শেক্সপীয়ারের “কিং লিয়র” এবং জাম্মাণদের “হিবলহেল্মটেল,” এই তিনখানি তিন রকমের কবিতা । ইহার ভিতর আছে তিন তিন রকমের দর্শন । এইগুলার সঙ্গে ক্ষীরোদবাবুর “রঞ্জাবতী"র তুলনা করা সাউক । আপনারা জানেন যে, এটা ডোম ও বাগ দীর গল্প । আমি দেখাতে চেষ্টা করছি, কেমন করে ক্ষীরোদপ্রসাদ পহেলা নম্বরের কবি হলেন । সাধারণতঃ লোকেরা যখন কবিতা স্বষ্টি করে তখন জোরের সহিত সত্যের দিকটা দাড় করানো হয়, সঙ্গে সঙ্গে তার উণ্টে অর্থাৎ অসত্যের দিকটাও দাড় করানো হয় । দুয়ে একটা লড়াই চলতে থাকে। আস্তে আস্তে একটা দিকের নিন্দা দেখতে পাই এবং অন্ত দিকের সৌন্দৰ্য্য