পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২১

বীর-পূজা S > ふ ফুটে উঠতে থাকে। এইভাবে সাধিত হয় শেষ পর্য্যন্ত সত্যের জয়, অসত্যের পরাজয় ইত্যাদি । অনেক বড় বড় কবি এই রীতিতেই একটা জিনিষকে ধ্বংস করবে আর একটা জিনিষকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলবে যেন সেট হিমালয় পৰ্ব্বতের মত অটল। রামায়ণের গল্প দেখুন, রামচন্দ্র ও রাবণে লড়াই, রামের সহায় যত রকমে হ’তে পারে সবগুলিকে এক রকম ভাবে সাজান হ’ল, রাবণের সহায় ঘটনাগুলিকে আর একভাবে ঠিক বিপরীতরূপে সাজান হ’ল, যাতে রাবণ পরাজিত হতে পারে। এই হ’ল এক ঢঙের সৃষ্টি-চাতুর্য্য। এই স্বষ্টির সঙ্গে "রঞ্জাবতী”র ডোম-বাগ দীর গল্পের তুলনা করুন। একটা নুতনত্ব দেখতে পাবেন। যে জিনিষটা যখন আমর। আশা করছি, ঠিক সে জিনিষটা আসছে না। আসছে প্রতি মুহূত্তে প্রত্যেক কথার ভিতর দিয়ে এক একটা অপ্রত্যাশিত জিনিষ । প্রত্যেক অঙ্কে, প্রত্যেক কথোপকথনে, প্রত্যেক ঘটনাসমাবেশে এমন গড়ন এসেছে যে, পাঠক বুঝতে পারে না জিনিষটা দাড়াবে কোথায়। একবগ্গা সাধু-অসাধু, একবগ্গ ধাত্মিক-জোচ্চোর, একবগগা বীর-কাপুরুষ, এই রকম কতকগুলা চরিত্র স্বষ্টি করা ক্ষীরোদপ্রসাদের বিশেষত্ব নয়। তাহার এক একজন লোক সম্বন্ধে পনর জন লোক পনর রকমের কথা বলছে এক সঙ্গে। অর্থাৎ ক্ষীরোদের কল্পনায় সে লোকটা এক নয়, সে বহু। নাম এক, কিন্তু বাস্তবিক সে বৈচিত্র্যপূর্ণ বহুত্বময় । অঙ্কের পর অঙ্কের ভিতর, প্রত্যেক কথোপকথনের ভিতর ক্ষীরোদপ্রসাদের স্বষ্টি-কৌশল এই বহুত্বের রূপ পরিস্ফুট করে তুলেছে। AAAAAA SAAAAAS SAAAA AAAe AAAA AAAA AAAA AAA SAAAAAS AAAAAS AAAAeMS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS "ی ہrختمبے ه স্বষ্টি-কার্য অনেক রকমের হতে পারে। ক্ষীরোদপ্রসাদের স্বষ্টি নতুন জিনিষ। মান্ধাতার আমলের মুদ্রারাক্ষস অথবা কিং লিয়রের মত জিনিষ পৃথিবীতে আজকাল আর চলে না । তার জায়গায় আরেকটা জিনিষ