পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|రిన రి নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন দেখা দিয়েছে । বিশ্লেষণ করে দেখাচ্ছি। মামুলি চিন্তায় রস নয় প্রকার । কিন্তু তুলনামূলক শিল্প-বিজ্ঞান, চিত্র-বিজ্ঞান প্রভৃতি নানারকম বিজ্ঞানের গবেষণায়ু দেখছি যে,—যাহাকে আমরা স্বাভাবিক জ্ঞান-প্রবৃত্তি বা হৃদয়ের উচ্ছাস বলি, সেগুল ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ মামুলি ভাগে বিভক্ত কর। চলে না। ৯ × 8 =৮১ অথবা এমন কি নয় হাজার, উনিশ হাজার নানা রকম জটিল চিত্ত-বৃত্তিতে দেখানো যেতেপারে। আর তাহাতেই কবিরও স্ষ্টিশক্তি স্থচিত হয় । কোন ব্যক্তি সহজসরল মানুষ নয়। প্রতিমুক্তত্তে সে জিলিপীর প্যাচ। দুনিয়। তাকে এক ব্যক্তি ব’লে স্বীকার করে না, এক সঙ্গে পনর ব্যক্তি ব’লে স্বীকার করছে । ক্ষীরোদপ্রসাদের মাথায় এই রস-বৈচিত্র্যের আর বৈচিত্র-স্মৃষ্টির জ্ঞান এসেছিল । যে-কোন চবিত্র আসুক, যে কোন গল্প বা ঘটন! আসুক, তাকে তিনি এমন ভাবে দাড় করিয়ে দিবেন যাতে প্রতিমুহূত্তে আমর। কবির গড়ন-জ্ঞান বা রূপ-বিদ্য দেখতে পাব । মামুলী ধরণের চরিত্রবিশ্লেষণ তাতে পাই না । নানাপ্রকার কথাবস্তু-বিষয়ক আর জীবনের লক্ষ্য ও আদর্শ বিষয়ক বিভিন্নত থাক। সত্বেও,—এইখানে ঘটনা-শ্রষ্ট ও চবিত্র-স্রষ্ট হিসাবে ইব সেনের কথ। মনে হচ্ছে । ( ७ ) এইবার স্বষ্টি-শক্তি তার স্ষ্টিজ্ঞান সম্বন্ধে কিছু তলিয়ে দেখা দরকার । যে দুনিয়াটা পেয়েছি তাকে ভেঙ্গেচুবে নতুন কিছু করতে পারি কিনা তাই দেখ হচ্ছে মস্তিষ্ক-শক্তির আসল কথা । ক্ষারোদপ্রসাদের বিশেষত্ব দেখতে পাই,—নরনারীর চরিত্রগুলাকে ভাঙা-গড়ায়। রাম-শুাম-আবদুল-ইস্মাইল,—এর যে ধরণের লোকই হউক না কেন, সেই লোকগুলাকে তিনি এমন ভাবে গড়ে তুলবেন যাতে—পাঠকেরা তার ওস্তাদি বুঝতে পারবে,