পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سمیع بـ ـ ७२8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ৩০ । সেক্ষেশলিষ্ট কৰ্ম্মবীর মেজল বামলদলসন বস্তু । মেজর বামনদাস বসু সাধারণ্যে পরিচিত ছিলেন কয়েকখানা বড় বড় বইয়ের লেখক হিসাবে । কিন্তু এই বই লেখালেখির ভিতরে, পশ্চাতে ও উপরে ছিল তাহার বিপুল স্বদেশ-নিষ্ঠ। তার চূড়ান্ত স্বদেশ-সেবকের অস্তুত কৰ্ম্মপটত্ব। বাংলাদেশে, বাংলার বাহিরে আর ভারতের বাহিরে যে কয়জন ভারতসন্তান আজ বিশ পচিশ বৎসর ধরিয়া স্বদেশসেবার নানা কৰ্ম্মক্ষেত্রে ও চিন্তাক্ষেত্রে মোতায়েন আছেন মেজর বসু ছিলেন তাতাদের প্রথম শ্রেণীর অন্যতম । যুবক ভারতের বহুসংখ্যক বাঙালী-অবাঙালী চিন্তাশাল ও কন্মনিষ্ঠ লোক মেজর বসুর সংস্পশে আসিয়| আত্মিক হিসাবে লাভবান হইয়াছেন । মেজর বসুকে নানা সদনুষ্ঠানের ও তাজ। তাজ আন্দোলনের উৎস হিসাবে শ্রদ্ধা করেন যুবক ভারতের অনেক লোক । এই স্থত্রে তাহাকে নিজের পরম আত্মীয় বিবেচনা করাও অনেক ভারতবাসীর দস্তুর । মেজর বসু যৌবনেই চাকরি ছাড়িয়ছিলেন । চাকরি ছাড়ার সঙ্গেও র্তাহার স্বদেশানুরাগ সুজড়িত । সৰ্ব্বদাই মেজর বস্থর মাথায় দেশোন্নতি-বিষয়ক দু’একট। নতুন নতুন চিন্তা বা কৰ্ম্মপ্রণালী খেলা করিত। এই জন্ত সৰ্ব্বদাই তিনি উৎসাহশাল, কৰ্ম্মপটু ও কর্তব্যনিষ্ঠ যুবার ধান্ধায় থাকিতেন। র্তাহার সঙ্গে প্রথম আলাপের দিনই কোনো যুবা দুএকটা ছোট বড় মাঝারি নতুন কাজের বরাত না পাইয়া ফিরিয়াছে কিনা সন্দেহ বরাত-মাফিক্‌ কাজ সম্পূর্ণ করিতে পারিয়াছে কয়জন সেকথা স্বতন্ত্র ।

  • “আর্থিক উন্নতি’তে প্রকাশিত ( জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী ১৯৩১ )