পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পূজা ৩২৫ خسی بے “۔ তাহার দাদা শ্ৰীশচন্দ্রের সঙ্গে একত্রে তিনি এলাহাবাদে পাণিনি আফিস কায়েম করেন । এই কাৰ্য্যালয়ের আসল কাজ ছিল প্রাচীন ভারতের সাহিত্য ইংরেজি ভাষার সাহায্যে প্রচার করা । কিন্তু মেজর বসুর নিজ গবেষণার প্রধান বস্তু ছিল বর্তমান ভারত । উনবিংশ শতাব্দীর “আধুনিক” ভারতীয় চিকিৎসকগণ কোন কোন কৰ্ম্মক্ষেত্রে কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন তাহার ইতিহাস সঙ্কলন করার দিকে র্তাহার একট। বড় ঝোক ছিল। এই ঝোকের ভিতরও তাহার স্বদেশনিষ্ঠ আত্মপ্রকাশ করিয়াছে। আয়ুৰ্ব্বেদ-প্রচারিত আর ভারতের অন্যান্য গাছগাছড়ার ওষুধ-গুণ আলোচনা করিয়া তিনি ও র্তাহার মারাঠা বন্ধু কীৰ্ত্তিকার ভারতীয় চিকিৎসা-পণ্ডিত ও ওষুধ-ব্যবসায়ীদের জন্ত সুবিস্তৃত গবেষণার ক্ষেত্র খুলিয়া দিয়াছেন। তাষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীর রাষ্ট্রীয়, আর্থিক ও শিক্ষাবিষয়ক ইতিহাস সম্বন্ধে তিনি বিস্তর তথ্য সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন । এই ক্ষেত্রের গবেষণায় তাহাকে অদ্বিতীয় বিবেচন। করা যাইতে পারে । তাহাকে "কুঁহিয়া” লইতে পারিলে এক সঙ্গে দশ বার জন পণ্ডিত বৰ্ত্তমান ভারতের ইতিহাস রচনায় যশস্বী হইতে পারতেন । র্তাহার নিজের লেখা যে কয়খানা বই বহির হইয়াছে সেই সব ঘাটিতে ঘাটিতে অনেকেই বিদ্যাক্ষেত্রের আর কৰ্ম্মক্ষেত্রের জন্য নয়া নয়া হদিশ পাইবেন । র্তাহার কোনো কোনো রচনার সঙ্গে রমেশ দত্ত প্রণীত বর্তমান ভারত বিষয়ক রচনাবলীর তুলনা করা চলে। কিন্তু বামনদাস বস্তু আর রমেশ দত্ত পুরাপুরি এক গোত্রের লেখক নন। দুয়ে প্রভেদ প্রচুর। মেজর বসুর সঙ্গে আমার অতি-নিকট যোগাযোগ ছিল। সেকালে র্তাহার বাড়ীকেই আমি নিজের বাড়ী বিবেচনা করিতাম। প্রথমবারকার প্রবাসকালে তাহার সঙ্গে চিঠি-পত্ৰ চলিত সৰ্ব্বদা। প্রত্যেক চিঠিই