পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কাজের চিঠি । দুঃখের কথা একটাও বঁাচাইয়া রাখি নাই । ১৯২৫ সনের শেষের দিকে দেশে ফিরিয়া তাহাকে সেই ১৯১১-১৪ সনের উৎসাহশীল ভাবুকতাময় স্বদেশনিষ্ঠ আন্তরিকতাপূর্ণ মেজর বস্তুই দেখিয়াছিলাম। এই কথা অন্যান্ত বহুলোকের সম্বন্ধেই বলিতে পারি না । মেজর বসুর বিশেষত্ব যারপর নাই সুন্দরব্রুপে ফুটিয়া উঠিয়াছিল । একালের কয়েকজন উৎসাহী করিৎকৰ্ম্ম যুবাদের জন্য মেজর বসুর সঙ্গলাভ ঘটাইবার উদ্দেশ্রে তাহাকে বঙ্গীয় ধনবিজ্ঞান পরিষদের সভাপতি হইতে অনুরোধ করিয়াছিলাম। এই অনুরোধ তিনি রক্ষা করিয়াছিলেন । যুবাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করিবার জন্ত আর সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন কাজের বরাত দিবার জন্য তিনি শারীরিক অসুস্ততা সত্ত্বেও অনেক কষ্ট স্বীকার করিয়া এলাহাবাদ হইতে কলিকাতা পর্য্যস্ত আসিয়াছিলেন । এই সামান্ত সঙ্গলাভেও যুবারা একজন শ্রেষ্ঠ স্বদেশনিষ্ঠ কৰ্ম্মবীরের জীবন স্পর্শ করিতে পারিয়াছেন বলিয়া আমার বিশ্বাস । দ্বিতীয়বারকার প্রবাসেও মেজর বসুর অনেক চিঠি পাইয়াছি। সবই কাজের কথায় ভর। এবারও কোনে চিঠি রাখি নাই। মেজর বসুর সঙ্গে জীবনে আর দেখা হইবে না এইজন্য বিশেষ কষ্ট পাইতেছি । মিউনিক, জাৰ্ম্মাণি, নবেম্বর ১৯৩০ = 1 ८न्चोन्वच्ष-न्यूउिँछ न्ज्ञन्वीडन्त्ब्षां८थं • সত্তর বৎসরের মুখে মুখে আসিয় রবীন্দ্রনাথ ইয়োরামেরিকার খোল বাজারে নিজ হাতের আঁক। ছবি ছাড়িয়াছেন । লণ্ডন, প্যারিস, মিউনিক, মস্কো, নিউ-ইয়র্কের নরনারী ১৯৩০ সনে দেখিল যে, সত্তর বৎসর বয়সের বুড় বাঙালী একজন ছোকরার মতন আত্মহারা হইয়া ছবি

  • “জয়ন্তী-উৎসৰ্গ” গ্রন্থে প্রকাশিত (১৯৩১)।