পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পূজা ৩২৭ আঁকিতেছে আর সঙ্গে সঙ্গে একটা নয়া-শিল্পের আসরে স্রষ্টারূপে দেখা দিতে সাহসী হইয়াছে । রবীন্দ্রনাথ চৌষটি বৎসর বয়সে “রক্ত-করবী”র লাল রঙে নিজ প্রতিভা রাঙাইয় তাহার সঙ্গে নবজাগ্রত মজুর-বিশ্বের আত্মীয়তা কায়েম করিবার ক্ষমতা দেখাইয়াছেন । “ফান্ধনী”র নাচ-গানে মাতিতে পারিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথ পঞ্চান্ন বৎসর বয়সে। আর ১৯০৫ সনের ভাবুকতায় যখন যুবক বাংলার জন্ম হয়, তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স গোটা পয়তাল্লিশ । সেই বয়সেও তিনি রাস্তায় রাস্তায় গান গাহিয়া হাজার হাজার ছোরা ও বুড়াকে গান গাওয়াইয়া ভারতে স্বাধীনতার ফোয়ারা চুটাইয়াছিলেন। তাহার আগের কথা আজ তুলিব না। রবীন্দ্র-জীবনীর এই তারিখ ও তথ্য কয়টা বাঙালীর জীবনবত্তার ইতিহাসে অমূল্য। পয়তাল্লিশ বৎসর বয়স হইতে সত্তর বৎসর পর্য্যন্ত রবীন্দ্রনাথ রোজ রোজ নতুন নতুন আগুন জালিতে পারিয়াছেন । আর সেই আগুন জালিয়া বাঙালীকে এশিয়াবাসীকে আর বিশ্ববাসীকে নানা আকার-প্রকারে তাতাইতে পারিয়াছেন । বিশেষ কথা, নিজেও সঙ্গে সঙ্গে আগেই তাতিয়াছেন। জীবন ভরিয়া এইরূপ তাতিবার আর তাতাইবার ক্ষমতা মানব-দুর্লভ। দুনিয়ার যৌবনশক্তি যুগে-যুগে রবীন্দ্র-প্রতিভায় তাজা তাজ মূৰ্ত্তি পাইয়৷ অমরতা লাভ করিয়াছে । রবীন্দ্র-শিল্পকে কেহ ভাবে পূরবী, কেহ বা সম্ঝিয়। রাখিয়াছে পশ্চিম, আবার কাহারো কাহারো মতে উহা পূরবী-পশ্চিমার খিচুড়ি । রবীন্দ্র-সংসারে কেহ চুড়িতেছে স্বত্র, কেহ চুড়িতেছে পঞ্চায়ৎ, বারোয়ারী তলা অথবা জয়েণ্ট ষ্টক কৌশল চালাইবার কৰ্ম্মকৌশল। কেহ বা পাইতেছে, কেহ বা টুড়িয়া টুড়িয়া হয়রাণ হইতেছে মাত্র। রবীন্দ্র-শিল্প