পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যুবক বাঙলার কৰ্ম্মক্ষেত্র ૨ ગ মহরম চালানো আমার মেজাজ-মাফিক কাজ নয়। বাঙলার যৌবন শক্তির এক এক আনা, দেড় দেড় আনা, দুদু আন অংশ এক একটা কাজে লাগিয়া থাকিলেই বহুবিধ প্রতিষ্ঠান ও আন্দোলন এক সঙ্গে চলিতে পারিবে । আজকার আখড়ায় আমি প্রধানতঃ চিন্তাক্ষেত্রের কথাই বলিয়৷ চলিতেছি । মাথ। পরিষ্কার করিবার কথাই আমার আসল কথা । যৌবন-শক্তির যুক্তি-শাস্ত্রটা আলোচন করাই বৰ্ত্তমানে আমার মতলব । নয়া বাঙলার গোড়াপত্তন করিবার জন্য একট। তর্ক-বিজ্ঞান আবশ্যক। সেই যুক্তি-যোগের প্রতিনিধিস্বরূপ নানা প্রকার কৰ্ম্মকৌশল, চিন্তাপ্রণালী আর মাথাওয়ালা এবং কম্মদক্ষ লোকও আবশ্যক। কাজেই আজকার সভয় আমার মুখে আপনার বাঙালী মস্তিষ্ককে মেরামত করিবার কৰ্ম্মকৌশল সম্বন্ধেই বেশ শুনিতে পাইতেছেন । এই জন্য কয়েকটা নতুন নতুন কৰ্ম্মক্ষেত্রের কথা আপনাদের কানে গিয়া পৌছিতেছে । দেশেগন্নতি-পরিষৎ বাঙালী মগজের একট। দারিদ্র্যের কথা আমি বার বার ভাবিতেছি । স্বদেশ-সেবক, রাষ্ট্র-সেবক, সমাজ-সেবক ইত্যাদি শ্রেণীর লোক বাঙ ল’ দেশে গড়িয়া তুলিবার কোনো ব্যবস্থা নাই। আমরা বিশ বাইশ বৎসর ধরিয়া ভূ ইফোড় ভাবে স্বদেশ-সেবক রূপে দাড়াইয়া যাইতেছি। সমাজ-সেবার কায়দা ও কৰ্ম্মপ্রণালী রপ্ত করিবার জন্য কোনো আখড়া বাঙলাদেশে আজ ও প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। রেল, জাহাজ, বিজলী, গ্যাস, স্বাস্থ্য, পাট, তিশি, চিনি, নগর, পল্লী, খাজনা, মুদ্রা, ব্যাঙ্ক, বীমা, শাসনব্যবস্থা, নিৰ্ব্বাচন-প্রণালী ইত্যাদি সমাজ-জীবনের কোনো দফা সম্বন্ধেই