পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミbア নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন কোনে কোনো আডডায় স্বদেশ-সেবার পাতি জোগাইয়া থাকে। আবার কোনে| কোনে। মজলিশে উহা বিশ্ব-সেবার হেয়ালি মাত্রে ভরা। আর এই সকল মামলায় র্যার যখন যেমন মজ্জি বা খেয়াল তখন তিনি তেমন রবীন্দ্র-স্বঃ দুনিয়ার দর কষিতে প্রবৃত্ত হন । রবীন্দ্র-সৃষ্টি পূরবী-পশ্চিম, স্বত্র-কৰ্ম্মকৌশল, স্বদেশ-বিদেশ ইত্যাদি সব কিছুই বটে, অথচ আবার এই সবের কোনো একটার গৰ্ত্তে পড়িয়া রবীন্দ্র-শিল্প কানার মত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে না। জ্যান্ত চোখে নিয়৷ ভাঙিবার ও গড়িবার শক্তি রবীন্দ্র-প্রতিভার স্বধৰ্ম্ম । এই স্বষ্টির সম্মুখে আসিয়া দাড়াইলেই আমার বারে বারে মনে হয় :– সুনীতির কুনীতির তুমি ধৰ্ম্মাধম্মের পারাবার, বিশ্বকোষ ঘাটতে বসে’ লোকে কবছে হাহাকার ! রবীন্দ্রনাথকে কোনে ফৰ্ম্ম লায়, কোনো বাধিগতে আট্‌কাইয়া রাখ। চলিবে না । কোনে। শাসন-প্রণালীর মারপ্যাচে এই স্বচ্ছন্দ গতিশক্তিকে পাকড়াও করা সম্ভবপর নয়। রবীন্দ্রনাথ জীবন বা যৌবন,—জীবনের ধারা, ঘেীবনের স্রোত,—স্বষ্টিশক্তির প্রতিমূৰ্ত্তি। প্রতিদিনই বাড়িয়া চলিরাছেন, - প্রতিদিনই জগৎকে রূপে-রঙে বাড়াইয়া চলিয়াছেন,—প্রতিদিনই অনন্ত যৌবনের স্বষ্টিক্ষমত চাখিয়া ধরাতলকে তাহার স্বাদ পরিবেশন করিতেছেন । দশকের পর দশক ধরিয়৷ দেশ-বিদেশের যুবারা আর যৌবনশীল প্রবণের এই মহাযুবা তালে তালে রকমারি উদ্দীপনা লাভ করিতেছে। এইরূপ বিশাল-প্রাণ, অসীম যৌবন-সম্পন্ন বিশ্বগ্রাসী মহাযুবা দুনিয়ার শিল্প-সংসারে বড় বেশী নাই। রবীন্দ্রনাথের জুড়িদার এক ছিল বৈচিত্র্যশীল জটিলতাপূর্ণ জাৰ্ম্মাণ সন্তান গ্যেটে। এই আসরে আর একজনের নামও মনে পড়িতেছে । সে ফরাসী সাহিত্যুবীর ভিক্তর উগে।। রোম, ইতালি, ১৯ মার্চ, ১৯৩১