পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পূজা ○○○ ”بسی۔ عے۔ حمہ ام – بی۔ حیہ< ভারতীয় ছাত্র ও গবেষককে প্রেরণা প্রদান করিয়া উহাদিগকে বড় হইবার সুযোগ প্রদান করিয়াছে। অদূর ভবিষ্যতে ইন্দো-আমেরিকান বাণিজ্য-সম্পর্ক আরও নিবিড় হইয়। উঠিবে, এবং এই বাণিজ্যের পরিধি আরও প্রশস্ত হইয়৷ যাইবে । এইরূপ ধারণা করিবার কারণও রহিয়াছে যথেষ্ট । বিগত মহাযুদ্ধের পর হইতে শিল্প-জগতে মার্কিন মুলুকের সাবালকত্ব প্রাপ্তি ঘটিয়াছে। আর্থিক জগতে একটি বড় শিল্প-শক্তিরূপে আমেরিকার আসন আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। এতদিন ধরিয়া দুনিয়ার সিক্কার বাজারে একটি মাত্র কেন্দ্র ছিল, আজ আর সেই অবস্ত নাই। এ সম্বন্ধে পূৰ্ব্বে লণ্ডনের ছিল একচেটিয়৷ অধিকার । কিন্তু দুই গোলান্ধের আর্থিক কেন্দ্ররূপে লগুনের ইজ্জত আজ অতীতের বস্তুতে পরিণত হইতে চলিয়াছে। বিশ্বদৌলত এখন অন্যান্ত কেন্দ্র হইতেও নিয়ন্ত্রিত হইতেছে। একটি কেন্দ্র সম্ভবতঃ ইয়োরোপে অবস্থিত। প্যারিস কিম্ব আমষ্টার্ডাম ইয়োরোপের এই আর্থিক কেন্দ্র, এমন কি বালিন সহরকে পর্য্যন্ত আর্থিক কেন্দ্ররূপে ধরা যাইতে পারে। দুনিয়ার অপর আর্থিক কেন্দ্রটি আটলান্টিকের পরপারে নিউইয়র্ক সহরে অবস্থিত। বর্তমানের বহুকেন্দ্রবিশিষ্ট বিশ্বদেলত ক্ষেত্রে নিউইয়র্কের আবির্ভাব অতি অল্প দিনের বস্তু এবং ইহার বিকাশ সবে আরম্ভ হইয়াছে মাত্র। ইয়াঙ্কি নরনারীর জার্তায় জীবনধারা নানা মুখে প্রধাবিত হইয়াছে। মাকিণ সম্প্রসারণের ধারা এবং গতির দিক এখনই কিছু বুঝা যাইতেছে। মনরো-নীতি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম গোলাৰ্দ্ধ আমেরিকার এইরূপ বিস্তার ত দেখিবেই । সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন সম্প্রসারণ ইয়োরোপেও আত্মপ্রকাশ করিতে চলিল। পরবর্তী দশক দু’এক ধরিয়া গোটা দুনিয়ার দৃষ্টি এই মার্কিণ সম্প্রসারণের প্রতিই নিবদ্ধ থাকিবে । মানব জাতির আর্থিক প্রচেষ্টা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের উপর আমেরিকার প্রভাব