পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\L ෆ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন আমরা যথার্থ বিজ্ঞান দক্ষ, তথ্য-দক্ষ, অঙ্ক-দক্ষ বাঙালী তৈয়ারী করিবার চেষ্টা করি নাই । সেই দিকে নজর ফেলিবার জন্য প্রস্তুত হইতে হইবে । “দেশোন্নতি’-পরিষৎ নামে একটা পরিষৎ কায়েম করা দরকার । তাহার কাজকৰ্ম্ম কিছু বলিয়া যাইতেছি । উদ্দেশ্র—(১) উচ্চশিক্ষিত বাঙ্গালাকে “দেশোন্নতি’ বিষয়ক বিদ্যা সমূহের চর্চায় সাহায্য করা এই পরিষদের উদ্দেশু । বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে দেশোমতি-বিদ্য বলিলে ব্যাপক ভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বুঝিতে হইবে । সমাজ-বিকাশ, আর্থিক ব্যবস্থা, শাসন-প্রণালী, জন্ম-মৃত্যু-স্বাস্থা ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে যে সকল জ্ঞানবিজ্ঞান আছে সবই দেশোন্নতি বিদ্যার অন্তর্গত। (২) বাংলার প্রত্যেক জেল হইতে দুইজন করিয়৷ এম,এ,এম, এসসি, এম এ, বি,এল ইত্যাদি দরের লোককে কলিকাতায় আনিয়া তাহাদিগকে এই দেশোন্নতি-বিদ্যার গবেষণায় পাকাইয়| তোলা পরিষদের লক্ষ্য । প্রত্যেককে অন্ততঃ দুইবৎসর ধরিয় গবেষণায় বাহাল থাকিতে হইবে । দুই বৎসরের শেষে গবেষকগণ নিজ নিজ কৰ্ম্মক্ষেত্র বাছিয়া লইবেন । তাহারা কেহ বা রা পক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে পারেন, কেহ বা অাথিক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করিবেন, কেতবা উকীল হইবেন, কেহব। অধ্যাপক হইতে পারেন, ইত্যাদি । কৰ্ম্ম-প্রণালী ৷ ১) পরিষৎ কলিকাতার কৰ্ম্মকেন্দ্রে কোনো বিদ্যাপীঠ বা অধ্যাপনার ব্যবস্ত করিবেন না । জন পঞ্চাশেক উচ্চশিক্ষিত বাঙ্গালী যাতাতে নিজ নিজ খেয়াল মাফিক দেশোন্নতি-বিদ্যার নানা বিভাগে মাথা খেলাইতে পারেন তাতার জন্য মুসাবিদা করিয়া দেওয়া মাত্র পরিষদের কত্তব্য থাকিবে । (২) প্রত্যেক দেশোন্নতি-গবেষক রোজ পাচ সাত ঘণ্টা গ্রন্থাগারে বসিয়া লেখাপড়া করিতে বাধ্য থাকিবেন । দরকার মত র্তাহাদিগকে