পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পূজা ৩৩৯ সমাজতন্ত্র মার্কসের স্থায় নহে। তা ছিল ফরাসী সাসিম’র মত অথবা জাৰ্ম্মাণযোবন-আন্দোলনের ঋত্বিক ফিখ টের মত। তিনি চাহিয়াছিলেন দরিদ্র নারায়ণের সেবা প্রচার করিতে। একদিকে তিনি ছিলেন একজন অদ্বিতীয় জাতীয়তানিষ্ঠ আবার অন্যদিকে আন্তর্জাতিকতাবাদী। সমগ্র জগৎকে পাশাপাশি রাখিয়া দেখিবার জন্ত তিনি সমস্ত ধৰ্ম্মের ও সমাজের সাৰ্ব্বজনীন ও মানবতা-প্রকাশক আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। স্বামী বিবেকানন্দ চল্লিশ বৎসর বয়সে মানব-লীলা সংবরণ করেন। কিন্তু অল্প দিনের মধ্যে র্তাহার মাতৃভূমির জন্য এবং জগতের জন্য তিনি এত বেশী কাৰ্য্য করিয়াছিলেন যে র্তাহাকে আমরা যৌবনশক্তির অবতার বলিতে বাধ্য। কেহ তাহাকে কৰ্ম্মবীর বলিয়া সম্মান করে ; কেহ বা ত্যাগী বলিয়া সম্মান করে ; কেহ বা ভক্তরূপে, কেহ জ্ঞানীরূপে আবার কেহ বা যোগী বলিয়া সম্মান করে । তিনি ছিলেন একজন পূর্ণমাত্রায় আদর্শবাদী ; তাহার সমস্ত জীবনটাই ছিল অতীন্দ্রিয়ের সাধনা বিশেষ। আবার তিনি বাস্তবনিষ্ঠদিগের অগ্রণী এবং বাহ জগতে তার ছিল সম্পূর্ণ আস্থা । রামকৃষ্ণকে বৰ্ত্তমান যুগের বুদ্ধ বলিলে, স্বামীজি বুদ্ধদেবের শ্রেষ্ঠ শিষ্যদের যথা—পণ্ডিত রাহুল, ব্যবস্থা-শাস্ত্রবিৎ উপালি, ভক্ত সেবক আনন্দ, ঋষি সারিপুত্ত এবং তর্কশাস্ত্রবেত্তা মহাকচ্চায়ন— প্রত্যেকের এবং সমষ্টির সহিত উপমিত হইতে পারেন। এই সকল বুদ্ধ-শিষ্যের প্রচার-সংগঠন প্রভৃতি সকল শক্তি এক বিবেকানন্দের মধ্যে পুঞ্জীভূত হইয়া উঠিয়াছিল। এই ধরণের একটা বিশ্বকোষ আওড়াইয় গেলেও বিবেকানন্দের জীবনকথা সমগ্র এবং যথেষ্টরূপে বলা হয় না। কেননা তিনি শুধু বেদান্তকে প্রচার করেন নাহ, রামকৃষ্ণকে প্রচার করেন নাই, হিন্দুধৰ্ম্মকে প্রচার করেন নাই, এমন কি ভারতীয় কৃষ্টকেও প্রচার করেন নাই—পুরাকালের জ্ঞানার্জন, v* سعیسی مسیحی ۹ تیر ۹ تی - سیم مسی و