পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

C3o নয়া বাঙ্গলার গোড়। পত্তন অতীত ও বর্তমানের চিন্তাধারার অনুবাদ, অথবা কতকগুলি হিন্দু আদর্শের প্রচার মাত্রই তাহার জীবনের প্রধান কৰ্ম্ম ছিল না। সকল প্রকার চিন্ত৷ এবং কার্য্যধারার মধ্য দিয়া তিনি প্রচার করিয়াছিলেন নিজকে । তিনি সৰ্ব্বদা তাহার উপলব্ধি সকল মানব সমক্ষে ধারণ করিতেন । নিজ জীবনে তিনি যে সকল সত্যের সাক্ষাৎ পাইয়াছিলেন তাহাই তাহার সাহিত্য এবং সঙ্ঘের মধ্য দিয়া প্রচার করিয়াছিলেন । আধুনিক দর্শন-শাস্ত্রের স্রষ্ট হিসাবে তাহাকে মাকিণ ডুয়ী, ইংরেজ রাসেল, ইতালিয়ান ক্রচে, জাৰ্ম্মাণ স্পাঙ্গার ও ফরাসী ব্যর্গসর পাশ্বে আসন দিলে দার্শনিক বিবেকানন্দের প্রকৃত মূল্য নিরূপিত হয় । সাধারণ পণ্ডিতবর্গ, যাহাদের প্রধান উদ্দেশু। প্লেটে, অশ্বঘোষ, প্লটিনুস্, নাগাৰ্জ্জুন, একুইনস ও শঙ্করাচার্য্য প্রভৃতির মতামত প্রচার করা, অনুবাদ করা, ব্যাখ্যা করা--স্বামীজিকে র্তাহাদের হায় মনে করিলে ভুল ধারণ হয় । শিকাগোর ধৰ্ম্মমেলায় ( ১৮৯৩) এই তিরিশ বৎসরের বাঙ্গালী যুবক তাহার অসীম জ্ঞান লইয়া পণ্ডিতমণ্ডলীর এবং সমগ্র জগতের একত্রিত জ্ঞানের সমক্ষে দাড়াইলেন । তিনি যে আদর্শ ধরিলেন তাহার দ্বারা মানবের অন্তরের ক্ষুধা নিবৃত্ত হইল। মানবকে তাহার একটা বাৰ্ত্তা দিবার ছিল । এই ধৰ্ম্মমেলায় বেদান্ত, হিন্দুধৰ্ম্ম প্রভৃতি প্রচারের জন্ত তাহার প্রতিভা দাপ্ত হয় নাই—হইয়াছিল নব্য আদশের প্রতিষ্ঠাতারূপে, নূতন চিন্তাপ্রেরকরূপে —যাহা ভবিষ্যতে জগতের মানব-মনে প্রভুত্ব করিতে বাধ) । আচ্ছা, তাহা হইলে বিবেকানন্দের স্বরূপটা কি ? তাহার বক্তৃতায় তিনি কোন ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করিয়াছিলেন । জগতে র্তাহার দানের মৰ্ম্ম প্তাহার পাচটি শব্দে প্রকাশ করা যাইতে পারে। তিনি মাত্র পাচ শব্দেষ্ট জগৎ জয় করিয়াছিলেন। “ঈ চিলড্রেণ অব ইমমট্যালিটি ! সিনাস ?” “হে । তোমরা) অমৃতের সন্তানগণ! পাপী ?”... প্রথম