পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

O8 R নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন হইয়াছিল—নীটশের নেতি-মূলক সমালোচনার পরিপূরকরূপে জগতের গঠনশক্তির ইতি-মূলক ভাবধারার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিতে আসিলেন বিবেকানন্দ । খুব অল্প লোকই আছেন যাহারা শক্তিযোগ, নৈতিক-আত্মপ্রতিষ্ঠা ব্যক্তিগত-স্বাধীনতা এবং জীবনের উপর মামুসের আধিপত্য প্রচার করিয়াছেন। এরূপ প্রচার করিয়াছেন একজন জাৰ্ম্মাণ দার্শনিক কাণ্ট এবং অার একজন বিবেকানন্দের পূৰ্ব্বতন সমসাময়িক ইংরেজ কবি রবার্ট ব্রাউনিং, আর আমাদের প্রাচীনদের মধ্যে সেই মহতী ধী-শক্তি-সম্পন্ন উপনিষৎ এবং গীতার দ্রষ্টা ঋষিগণ । বিবেকানন্দের সমগ্র জীবনের মূল – ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দের পূৰ্ব্ব পর্য্যস্ত দশ বৎসর যাবৎ তার সাধনা, এবং ঐ সময় হইতে ১৯০২ খৃষ্টাব্দ পর্য্যন্ত র্তার দশ বৎসরের কৰ্ম্মজীবনেব সমাধান— দেখিতে পাওয়া যাইবে এই শক্তিযোগে । উদ্যম, বল, বীর্য্য ও স্বাধীনতার সাধনায় তাহার সমস্ত কাৰ্য্য এবং চিন্তা এই শক্তিবাদের বহিঃপ্রকাশ । আমাদের পৌরাণিক বিশ্বামিত্র অথবা গ্ৰীক এসখিলসের প্রমিথিয়াসের মত তিনি নুতন জগৎ তৈয়ারা করিতে এবং স্বাধীনতার অগ্নি, দেবত্ব ও অমরত্ব মানব সমাজে পরিবেষণ করিতে চাহিয়াছিলেন । র্তাহার সমগ্র জীবনে আর একটি বিশেষত্ব দেখা যাইবে—তিনি ব্যক্তি গঠনের উপর বিশেষ ঝোক দিয়াছিলেন । বিবেকানন্দ স্পষ্ট ভাবে ধৰ্ম্ম প্রচার করিয়াছিলেন, সমাজ সংস্কার করিয়াছিলেন এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে অভিযান করিয়াছিলেন ; কিন্তু আসল কথা ছিল ব্যক্তিত্ব গঠন । মনুষ্যত্ব এবং স্বাধীনতা শিক্ষা দিবার জন্ত, ব্যক্তিত্ব ও স্বাতন্ত্র্য প্রবুদ্ধ করিবার জন্ত র্তাহার জীবন উৎসর্গীকৃত ছিল। র্তার প্রচারিত যোগ-বিষয়ক গ্রন্থাবলীর যথার্থ উদ্দেশ্যও ছিল ব্যক্তি গড়িয়া তোলা। জীবনের নানারূপ অবস্থার উপর আধিপত্য করিতে এবং