পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)88 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চিত্তরঞ্জন দাশ—আশুতোষের মত যৌবন-ধৰ্ম্মী ছিলেন এবং তাছার মতই ছেলেদের সঙ্গে প্রতিপূর্ণ বন্ধুত্বের সম্বন্ধ বজায় রাখিয়া চলিতেন । এইজন্ত, যুবকদের সঙ্গে আশুতোষের ঘনিষ্ঠ লেনদেনকে একট বিস্ময়কর ও অসাধারণ কাগু বলিয়া মনে করিলে অনেকে আশ্চর্য্য হইবে না । ১৯০৫ হইতে ১৯২৫ সন পর্য্যন্ত বিশ বৎসর,—স্বদেশীর এই গৌরবময় যুগে,– সুরেন্দ্রনাথ, চিত্তরঞ্জন ও আশুতোষ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ত্রিবীর । তাহার বিভিন্ন কৰ্ম্মক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন কৰ্ম্মপ্রণালীতে অগ্রসর হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু তাহাদের তিনজনেরই জীবনী-শক্তির উৎস ছিল একপ্রকার । যাহারা কাচা, নবীন ও অনভিজ্ঞ, তাহাদের নিঃসঙ্কোচ ও অফুরন্ত আবদারগুলার সহিত নিরবচ্ছিন্ন ও সক্রিয় সংস্পৰ্শই এই ত্রিবীরের জীবনবত্তার আসল উপাদান। যে যুবক বাংলা অজানা পথে চর্গমযাত্রায় বাহির হইয়াছে এবং নয়। নয়। রাজ্য-জয়ে রত, সেই যুবক বাংলার পায়েই এই তিন কৰ্ম্মবীর তাহাদের মেধা ও শক্তি ঢালিয়া দিয়াছিলেন । প্রধানতঃ, এমন কি একমাত্র ইস্কুল-পাঠশালা ও বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কাজকন্মে ওস্তাদ বলিয়াই আশুতোষ সাধারণ্যে পরিচিত ছিলেন । কিন্তু, তিনি ছিলেন সৰ্ব্বাগ্রে স্বজাতিনিষ্ঠ ও স্বদেশপ্রেমিক। কথাটা এরূপ ভাবেও বলা চলে যে, স্বজাতিনিষ্ঠ ও স্বদেশসেবক হিসাবে যে শক্তিস্রোত আশুতোষের চিত্তে প্রবাহিত হইত, সেই শক্তিস্রোতই লেখাপড়া সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ওস্তাদ হিসাবে আশুতোষের জীবনে মূৰ্ত্তি-লাভ করিয়াছিল। বাজারে সুপ্রচলিত ইস্কুলমাষ্টারী বিদ্যার ওস্তাদি করা আশুতোষের স্বধৰ্ম্ম ছিল না । তাহার শিক্ষা-বিষয়ক কৰ্ম্মনীতি ও চিন্তাপ্রণালী ছিল এক বিরাট গঠন-মূলক স্বদেশসেবার অন্যতম বনিয়াদ।