পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ae eAAA AAAA SAS S S AAAA SeS SS aSAeTAeS J AEeiS cee AAAA SAAAAA AAeAeeAeSAeeS -- - - - .. اسے rے۔ শিক্ষার সংস্কারক হিসাবে তাহার চেষ্টাচরিত্রের প্রধান উদ্দেশ্য কি ছিল ? তাহা এই যে, বাঙালীর সাধনাকে মৌলিক, স্ব-নিয়ন্ত্রিত, সৰ্ব্বগ্রাসী ও সৃষ্টি-শীল বিশ্বশক্তিতে পরিণত করিতে হইবে । যুবক বাংলা দুনিয়ার শক্তিগুলার মধ্যে এক নতুন শক্তিরূপে অন্তান্ত শক্তির সঙ্গে সমানে সমানে, এবং পূর্ব-পশ্চিমের বৈজ্ঞানিক, আর্থিক ও সামাজিক ধুরন্ধরদের সহিত সহযোগীর দ্যায় চলা-ফেরা করে,—লেখাপড়ার ওস্তাদ ও দেশভক্ত হিসাবে ইহাই ছিল তাহার জীবনের স্বপ্ন। এরূপ বাসনায় আশুতোষ বৰ্ত্তমান বাংলায় মাত্র আর একজন সমধৰ্ম্মী পাইয়াছেন- তিনি আমাদের রবীন্দ্রনাথ । এইখানে প্রসঙ্গতঃ বলিয়া রাখি ষে, আশুতোষের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ,—সরকারী বা সামাজিক হিসাবে,—কখনও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আসিয়াছেন কিনা সন্দেহ । রবীন্দ্রনাথের উল্লেখ করাতে আশুতোষের একটা প্রধান কথা বিশেষভাবে মনে পড়িয়া গেল । বাংলাদেশে রামমোহনের সময় হইতে যে সব বড়লোক জন্মিয়াছেন, তাহাদের মধ্যে র্যাহারা পয়লা নম্বরের র্তাহাদের ভিতর আশুতোষই বোধ হয় একমাত্র লোক যিনি সাগর পাড়ি দেন নাই এবং বর্তমান দুনিয়ার গড়ন ও গতিভঙ্গী নিজের চোখে দেখিয়া আসেন নাই। তবুও, ভারতবাসীর জীবন ও অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান সমূহকে আধুনিক করিয়া তোলার আবশ্বকতা সম্বন্ধে আশুতোষের দৃঢ়বিশ্বাস যতটা ছিল, আমাদের কোনো সমাজ-সংস্কারক, রাষ্ট্র-সাধক ও শিক্ষাপ্রচারকের মধ্যে তাহার চেয়ে বেশী ছিল না। পচিশ বছর আগেকার কথা বলিতেছি । ১৯০৭ সনে—বর্তমান লেখক যখন উনিশের কোঠা পার হন নাই, তখন অনেকবার আশুতোষের সহিত প্রাণখোলা আলাপের সুযোগ জুটিয়াছিল। জাতীয় শিক্ষা, স্বরাজ, দেশহিত এবং সামাজিক ও আর্থিক নানা কথা লইয়া তর্কাতকি চলিত।