পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)8や নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন এক উপলক্ষ্যে র্তাহার মুখ হইতে এই কয়ট বিদ্রপাত্মক কথা বাহির হয়— “একশো দেড়শো বছর আগে আমাদের ঠাকুরদাদারা কি ক’রতে জানিস ? তারা দুপাত ফারসী প’ড় তো আর খড়ম পায়ে দিয়ে বেড়াতে । এইতো ছিল সেকালে আমাদের দৌড় !” প্রাচীন হিন্দুসভ্যতার অথবা মধ্যযুগের হিন্দু-মুসলমান আদর্শের রঙফলানো গোলাপী বর্ণনায় হতভম্ব বনিবার মত পাত্র আশুতোষ ছিলেন না । প্রাচীন সংস্কৃত শাস্ত্রের প্রতি বিদ্যাসাগরের মত আশুতোষেরও বিশেষ অনুরাগ ছিল। কিন্তু, আধুনিক ভারতীয় চিত্তকে কৰ্ম্মক্ষম করিবার উপায় হিসাবে সংস্কৃত শিক্ষার অসম্পূর্ণতা বিদ্যাসাগর খোলাখুলি স্বীকার করিতেন । বিদ্যাসাগরের মস্তিষ্ক ছিল বস্তুনিষ্ঠ। আশুতোষের মগজও ঠিক এইরূপ বস্তুনিষ্ঠ মগজ ছিল । বৰ্ত্তমান লেখকের সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তায় আশুতোষ যাহা কিছু বলিয়াছেন, তাহার মধ্যে অতীত বা মধ্যযুগের কোন নিন্দাপ্রচার থাকিত না । বরং ভারতের অতীত ও মধ্যযুগকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ও সহানুভূতির সঙ্গে আলোচন করিবার আবশ্যকতা তিনি বিশেষ রূপেই বুঝিতেন । তাহা সত্ত্বেও বাঙালী সমাজে আধুনিক অনুষ্ঠানপ্রতিষ্ঠান যোগাইবার ইচ্ছা এবং লেখাপড়ায় ও জীবনের কাজকম্মে বর্তমাননিষ্ঠা ঢোকাইবার বাসনা-জনিত উৎসাহই আশুতোষের সারা মনপ্রাণকে পাইয়া বসিয়াছিল। সেকালে তাহাকে লোকেরা সাদাসিধা “ভবানীপুরের আশুবাবু” বলিয়া জানিত । সাদাসিধা বলিয়া তিনি “সেকেলে” লোক ছিলেন না। বরং বর্তমাননিষ্ঠায় অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন বলিয়াই, বিশ্বশক্তির ঘাতপ্রতিঘাতের দিকে তাহার দৃষ্টি ছিল সজাগ । সেইজন্য, যখনই সুযোগ উপস্থিত হইল তখনই ইয়োরামেরিকা ও জাপানের সম্পদ লুঠিবার দিকে র্তাহার মেজাজ খেলিল হার্ভার্ড, লণ্ডন, প্যারিস, বালিন, রোম ও