পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীর-পূজা 98 তোকিওতে যে সব মাল পাওয়া সম্ভব, তাহ ভারতের স্বার্থে কিরূপে কাজে লাগাইতে পারা যায় তাহার চেষ্টা চলিতে থাকিল । বর্তমানের আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন-আবিষ্কারগুলার মধ্যে ভবিষ্য বাঙালী জীবনের ভিত্তি গভীর ও প্রশস্তভাবে গড়িতে তিনি সচেষ্ট ছিলেন । পঠন-পাঠনের দুনিয়ার প্রত্যেক আনাচে-কানাচে আশুতোষের সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক দূতদের দেখা যাইতে লাগিল। আর সঙ্গে সঙ্গে দেশদেশান্তর হইতে বৈজ্ঞানিক ও বিদ্বানদের নিমন্ত্রণ করিয়া ভাগীরথীতীরে টানিয়া আনিবার ব্যবস্থা ও চলিতে থাকিল । আশুতোষের আকাঙ্ক্ষা এইখানেই থামে নাই। বিশ্বশক্তির নানা ধারাকে যুবক ভারতের জাতিগঠকদের সংস্পর্শে আনিয়া, আর ভারতবাসীর সহিত ভারতের বাহিরের শিক্ষা ও সাধনার একটা সাক্ষাৎ সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াই তিনি কাজ খতম করেন নাই। তিনি চাহিয়াছিলেন যে, এই আদান-প্রদান যেন সমানে-সমানে চলে। ভারতের ভিতরেই হউক বা বাহিরেই ইউক্, বিদেশীদের সহিত বৈজ্ঞানিক বা সামাজিক সংস্পশে আসিবার সময় ভারতসন্তানেরা সমকক্ষের মত লেনদেন চালাইবে, ইহাই তাহার জীবনী-রক্তের উপাদানস্বরূপ ছিল । বিদেশীদের সঙ্গে ভারতবাসীর সাম্য বিষয়ক চিন্তা তাহার জীবনের আধ্যাত্মিক ভিত্তি যোগাইয়াছিল। স্বদেশী যুগের প্রথম দিককার আর খানিকটা কথায় আশুতোষের মানসিক ও নৈতিক গড়নকে বেশ স্পষ্ট করিয়া বুঝিতে পারা যায়। তাহার স্বাভাবিক যুদ্ধং দেহি ভাব লইয়া একবার তিনি বলিয়াছিলেন – “তোদের জাতীয় নেতারা, আজকালকার স্বদেশীওয়ালারা, সিমলা বা দার্জিলিং এমন কি কলিকাতার রাস্তায়ও, ধুতি প’রে চটজুতা পায়ে বেরুতে সাহস করে না, পাছে তাদের সাহেব বন্ধুরা দেখে ফেলে। কিন্তু