পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8v- নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বামুনের বাচ্চা আমি, সাহেবদের কাছে আমি পৈতা দেখাতে কখনও সঙ্কুচিত হই নি । তোদের নেতারা যেমন ভীরু, তারা সাহেবদের কাছে সম্মানের দাবীই বা ক’রবে কি ক’রে, অথবা যুবক বাংলার মনকে দাসত্ব হ’তে মুক্ত করবেই বা কি ক’রে, কিংবা আধুনিক জগতের শক্তিপুঞ্জ সম্বন্ধে যুবকদের মনে স্বাধীনতা ও সাম্যের ভাবই বা ঢোকাবে কেমন ক’রে ?” এই কথাগুলির মধ্যে বড় তেতে সত্য নিহিত আছে। অনেক বছর পরে, তাহার যে আকাজক্ষার জোরে কলিকাতায় উচ্চশিক্ষা বিষয়ক যুগান্তর স্বল্প হয়, তাহার আভাস এই কড়া বাণীর ভিতর পাওয়া যায় । যুবক বাংলার মস্তিষ্কজাবীর হীনতার চরিত্র ও দৈন্তকে পদাঘাত করিবে এবং ইয়োরোপ আমেরিকা ও জাপানের মস্তিষ্কজীবীদের মধ্যে মাথা খাড়া করিয়া চলিবে, ইত। তাহার আশার অন্তর্গত ছিল । জীবনের নানাক্ষেত্রে একটার পর একটা করিয়া ক্রমাগত প্রথমশ্রেণীর কাজ দেখাইয়া তিনি যুবক বাংলার মনো-রাজ্য হইতে ক্লৈব্য ও দানত একদম নিৰ্ব্বাসিত করিতে চাহিয়াছিলেন । ইহাই ছিল তাহার আকাজক্ষ । কিন্তু তিনি নিজ দেশবাসার মানসিক ও নৈতিক দুৰ্ব্বলতার কথা হাড়ে হাড়ে বুঝিতেন । ভারতের যুবক ও বয়োবৃদ্ধের বিদেশী মস্তিষ্কজাবীদেরকে যে মহ-প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তি অথবা আধাদেবতা বা আস্ত অবতার বিশেষরূপে পূজা করিয়া থাকে, তাহা তিনি বেশ জানিতেন । বিদেশী পণ্ডিতদের সাটিফিকেট ও পরিচয়-পত্রকে যে ভারতীয় সুধীর অতি-কিছু সমঝিয় থাকেন আর সার্টিফিকেট-দাতাদিগকে উচ্চশ্রেণীর প্রভু হিসাবে প্রণাম করিতে অভ্যস্ত তাহা আশুতোষ চোপর দিনরাত দেখিতেন । পাশ্চাত্য গ্রন্থকারদের বইগুলার সারমৰ্ম্ম তৈয়ার করাই ভারতীয় পণ্ডিতেরা যে র্তাহাদের প্রধান ব| একমাত্র কৰ্ত্তব মনে