পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\OG 8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পরমুখাপেক্ষিতা অথবা পরের উপর নির্ভরশীলতা কোনে মতেই বাঞ্ছনীয় নহে । ভারতবর্ষের ৩৫ কোটী লোক—সকলেই আমরা ভারতবাসী একথাটী জানিয়া রাখা বা বুঝিয়া রাখা যুক্তিযুক্তও বটে আর তাহাতে লাভের সম্ভাবনাও আছে । কিন্তু তাহ বলিয় পদে পদে পাচ কোটী বাঙ্গালীর পক্ষে অন্তান্ত ত্রিশ কোটী ভারতীয় নরনারীর শক্তি স্বাস্ত্য সাহস ও কন্মনিষ্ঠার উপর ধর্ণ দিয়া পড়িয়া থাক। কোনে মতেই যুক্তিযুক্তও নয়, আর তাহাতে লোকসান ছাড়া লাভের সম্ভাবনাও নাই । বাঙ্গালীদের মত মারাঠাদের ঠিক এইরূপ চিন্ত করা উচিত, পাঞ্জাবীদের ঠিক এইরূপ চিন্ত৷ করা উচিত, মাদ্রাজীদেরও ঠিক এইরূপই চিন্তা করা উচিত। ভারতের প্রত্যেক প্রদেশেই চাই আজ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র শক্তিসাধনা ও কৰ্ম্মসাধনা, স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র সাহসিকত ও কৰ্ম্মনিষ্ঠার দিগ্বিজয় । এই শক্তিযোগ আর কৰ্ম্মনিষ্ঠ বাড়াইয়া তুলিতে হইলে আধ কোটি, এক কোটি, দেড় কোটা, আড়াই কোটী, তিন কোটী, পাচ কোটী লোককেই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ভাবে—অদ্যান্ত ভারতীয় নরনারীর কৰ্ম্মদক্ষতার উপর নির্ভর না করিয়—নিজ নিজ গণ্ডীর ভিতর নানাবিধ কৃতিত্ব দেখাইতে হইবে । ঐক্য-দর্শনের সেকাল ও একাল আজ আমি তামার নিজের দেশের কথা বলিতেছি । বাঙ্গালী জাতির ভবিষ্যৎ—সমীপবৰ্ত্তা ভবিষ্যৎই—আমার একমাত্র আলোচ্য বিষয়। ভারতবর্ষে অন্তান্ত প্রদেশের লোকেরা কি করিতেছে বা না করিতেছে, সে সম্বন্ধে আলোচনা বর্জনীয় নয়। কিন্তু তাহারা কিছু করুক বা না করুক, বাঙ্গালী জাতিকে স্বাধীন ভাবে নিজের কাজ করিয়া যাইতে হইবে, নিজের