পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○や নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন পয়ত্ৰিশ কোটা নরনারী বাস করে, সেই ধরণের মহাদেশকে একট ঐ ক্যগ্রথিত নরনারীর রাষ্ট্র বিবেচনা করা ইয়োরেশিয়ার মধ্যযুগে সুপ্রচলিত ছিল। তখনকার দিনে ইয়োরোপের বাদশারা গোট। ইয়োরোপকে অথবা আধখান। ইয়োরোপকে অথবা সিকিখান ইয়োরোপকে নিজ নিজ তবে আনিয়া ঐক্যগ্রথিত ইয়োরোপের উপর একাধিপত্য চালাইতে চাহিতেন অথবা চালাইতেছেন মনে করিতেন । তখনকার দিনে চিন্তাবীর, কবি, দার্শনিক ইত্যাদি লোকেরাও এইরূপ ঐক্যগ্রথিত ইয়োরোপ সম্বন্ধে আদর্শ প্রচার করিতেন । আমাদের ভারতীয় বাদশার। অনেকেই রাজচক্রবর্তী, সাব্বভৌম অথবা এই ধরণের কিছু হইতে চেষ্ট। করিতেন । তাহ ছাড়া ধৰ্ম্মশাস্ত্র, নাতিশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র ইত্যাদি রাজশাস্ত্রের প্রচারকেরাও এইরূপ সৰ্ব্বগ্রাসী বিশাল ঐক্যবিশিষ্ট সাম্রাজ্য কল্পনা করিতে প্রবৃত্ত হইতেন । কিন্তু সে সব, কি হয়োরোপে কি এশিয়ায়, পাগলামী ছাড়া আর কিছু ছিল না। মধ্যযুগের তথাকথিত ইয়োরোপীয় ঐক্য আর তথাকথিত ভারতীয় ঐক্য কথার কথ। মাত্র ছিল । তাহাতে হয়ত ব| সামাজিক লেনদেনে, ধৰ্ম্মের আচার বিচারে, বিশেষতঃ বড় ঘরের কৌলীন্য প্রথায় একটা ঐক্য বা সাম্য অতি দূর দূর দেশের ভিতরও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল । কিন্তু রাষ্ট্রীয় ঐক্য, নরনারীর রাষ্ট্রগত একতা ইত্যাদি বলিলে বর্তমান যুগে যে ধরণের জনগণ-নিয়ন্ত্রিত স্বরাজের কথা উঠে সে সব চৗজ মধ্যযুগের ইয়োরোপে অথবা ভারতীয় বাদশ-তন্ত্রে দেখ। যাইত না । সেই সব ঐক্য ছিল রাষ্ট্রীয় গোলামার আর রাষ্ট্রীয় যথেচ্ছাচারের নামান্তর মাত্র। যাহা হউক উনবিংশ শতাব্দীতে ইয়োরোপে এই সেকেলে ঐক্যের মায়ামৃগ আর কাহাকেও প্রলুব্ধ করিতে পারে নাই । নেপোলিয়নের পরবর্তী যুগে ইয়োরোপীয়ানর। বুঝিয়া লইয়াছে যে,