পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৫৯

বাঙ্গালী, ভারত ও জুনিয়া ৩৫৭ بی" جم گئے ইয়োরোপের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে এই ঐক্য কায়েম করা সম্ভবপর নহে। কাজেই তাতার খোলাখুলি ইয়োরোপকে টুকরা টুকরা করিয়া ভিন্ন ভিন্ন, স্ব-স্ব প্রধান স্বাধীন রাষ্ট্রশক্তিতে বাটিয়া লইয়াছে। এই ভাগবাটোয়ারার কাজ যে সম্পূর্ণ হইয়াছে সেকথা এখনও বলা চলে না। এখনও বহুদিন ধরিয়া, হাসাই সন্ধির পরেও স্বতন্ত্র একক গড়িয়৷ তুলিবার অবস্থ৷ ইয়োরোপে থাকিবে । কিন্তু ভারতবর্ষে আমরা আহাম্মুকের মত সেই মধ্যযুগের বুলি তার মধ্যযুগের কাজট। একালেও বেমালুম চালাইয় যাইতেছি। তথাকথিত ভারতীয় ঐক্যের আলেয়ার পেছনে ন চুটিয় অথবা আজকালকার তথাকথিত ফেডারেশুনের খপ্পড়ে ন পড়িয় ভারতবাসীর উচিত ছিল সোজাসুজি ভারতবর্ষকে ভিন্ন ভিন্ন স্বস্বপ্রধান স্বাধীন শক্তিকেন্দ্রে টুকরা-টুকরা করা। ভারতে বিচক্ষণ রাষ্ট্র-সমজদার থাকিলে তাহারা ভারতকে ঐক্যগ্রথিত করিবার কথা না ভাবিয়া তাহাকে ছোট ছোট শক্তিশালী কতকগুলো স্বাধীন দেশে পরিণত করিবার ফিকির চুড়িতে চেষ্টা করিতেন । ইয়োরোপের মতন “অনৈক্য” চাই ভারতে ভারতবর্ষ গোট। ইয়োরোপের প্রায় দুই পঞ্চমাংশ । গোটা ইয়োরোপ বলিতে ইয়োরোপীয়ান রুষিয়াও অন্তর্গত করিতেছি। অথবা যদি ইয়োরোপীয়ান রুষিয়াকে বাদ দিই, তাহ হইলে ইয়োরোপের যতটুকু থাকে তাহার প্রায় বার আনা হইল আমাদের ভারত। ভারতের নরনারীর নিকট যেখানে সেখানে যখন তখন একটা ঐক্যগ্রথিত অথবা ফেডারেলীকৃত ভারতীয় রাষ্ট্র গড়িয়া তোলা সম্বন্ধে বক্তৃতা করিলে ঠিক তেমনই আহাম্মুকির পরিচয় দেওয়া হয় না কি,-যেমন ইয়োরোপের তিনতুর্থাংশের নরনারীকে একটা ঐক্যগ্রথিত ইয়োরোপীয় রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র-সংঘ