পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ন। কিন্তু এই সব তথা কিছু কিছু করিয়া হজম করিতে থাকিলে আমাদের রক্ত পরিষ্কার হইয়া আসিবে । ধনবিজ্ঞানের তত্ত্বাংশ আর কাৰ্য্যাংশ দুইয়ের জন্যই এই সমুদয় ধাতব তথ্য যার পর নাই আবশ্যক। আমার বিবেচনার যন্ত্রপাতি আর লোহালক্কড়ের শালসাই বৰ্ত্তমানে বাঙালীর আসল দাওয়াই ; ভারতবর্ষে ধাতব কারবার বাড়িতেছে মনদ নয় । ১৯২৫ সনে ভারতগবমেণ্টের দপ্তর হইতে ৮৫৯ট। “কনসেগুন”-মঞ্জর জারি করা হইয়াছে। ১৯২৪ সনে সরকারী মঞ্জুরেব সংখ্যা ছিল ৭৬৯ । ১৯২৫ সনে ৭৩৭ জন দরখাস্তকারা খনি-বহুল জনপদ “প্রসপেক্ট" ( বা পরখ ) করিবার “লাইসেন্স” ( অধিকার বা অনুমতি ; পাইয়াছে। ১১১ জন খনিতে খোদাই কাজ সুরু করিবার ‘লাজ’ ( স্বত্ব ) লাভ করিয়াছে । আড়াই লাখের উপর ভারতীয় নরনারা নানা খনিতে বিভিন্ন শ্রেণীর মেহনত করিয়৷ অন্ন-সংস্তান করিয়া থাকে। ১৯২৪ সনে এ সংখ্য ছিল ২৫৮,২১৭ । ১৯৩০ সনে সংখ্যা দাড়াইয়াছে ২৬১,৬৬৭ । এই সংখ্যার তর ১২০,৩৩৩ জন আস্তভৌম কাজ করে । ৭১,৫৮২ জন খোলা হাওয়ায় আর ৬৯,৭৫২ জন খনির উপরে এবং আশে পাশে নিযুক্ত। খনিতে নেয়ে মজুরদের সংখ্যাও কম নয়। ৫৬,৯১৩ জন নারী এই আড়াই লাখের অন্তর্গত। তবে মেয়ে মজুদের সংখ্যা কমিয়। আসিতেছে। ১৯২৯ সনে ছিল ৭০,৬৫৬ । ১৯২৫ সনে ভারতে যত কয়লা উঠিয়াছিল তাহার দাম ১২ 98, o o, ৯০৮ টাকা। ১৯২৪ সনে আরও বেশ ছিল ( ১৪,৯৬,৫৩,৪১৯ ) । ১৯২৫ সনে ১৯২৪ সন অপেক্ষ ২৭০,০০০ টন কম কয়লা উঠিয়াছিল। ১৯৩০ সনে কয়লা উঠিয়াছিল ২২,৬৮৩,৮৬১ টন । ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ লাখ টনের চেয়েও বেশ কয়লা উৎপন্ন হইয়াছিল।