পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী, ভারত ও জুনিয়া Ꮼ©Ꮌ গুলি শব্দের পিছনে ছুটিয়া তাহার গুণগান করিতে করিতে আমরা আমাদের আসল কৰ্ত্তব্য ভুলিয়া গিয়াছি। এখন হইতে আমাদিগকে চোখ খুলিয়া, নিজের চোখে দুনিয়া দেখিয়া,—কি সম্ভব কি অসম্ভব তাহ সম্বন্ধে গোজামিল না রাখিয়া, সোজা পথে কাজে নামিতে হইবে । অtয়তন ও লোকবল আজকালকার বোম্বাই প্রদেশ আয়তনে ইয়োরোপের ইতালি অথব। নরওয়ের সমান। আসাম প্রদেশ গ্রীসের চেয়ে কিছু বড়, চেকোশ্লোভাকিয়ার চেয়ে কিছু ছোট। মাদ্রাজ আর পোল্যাণ্ড আয়তনে প্রায় সমান সমান। আর আমাদের বাংলাদেশ চেকোশ্লোভাকিয় ও লিথুয়ানিয়া —এই দুইটী ইয়োরোপীয়ান রাষ্ট্রের সমান। মজার কথা,—এ কালের ইয়োরোপে র্যাহার করিৎকৰ্ম্ম রাষ্ট্র-ধুরন্ধর অথবা রাষ্ট্ৰ-দাৰ্শনিক তাহারা ইউনিটি বা ঐক্যের স্বপ্ন দেখেন ন অথবা একটা ফেডার্যাল কাঠাম কল্পনা করেন না। ইয়োরোপকে তাহারা বহুসংখ্যক ইয়োরোপে বিভক্ত দেখিতে চাহেন, আর করিয়াছেনও তাহাঙ্গ । ইয়োরোপে আজকাল ত্রিশ বত্ৰিশটা ভিন্ন ভিন্ন স্বাধীন দেশ বিরাজ করিতেছে। তাহাদের কেহ বড়, কেহ মাঝারী, কেহ ছোট । ইয়োরোপের মত গঠনমূলক রাষ্ট্রকৌশল যদি আমাদের থাকিত, তাহ। হইলে আমাদের ভারতীয় মহাদেশে কম-সে-কম দুই ডজন স্বস্বপ্রধান স্বাধীন জাতি বা রাষ্ট্র দেখিতে পাইতাম। ভারতবর্ষের আয়তন লক্ষ্য করিয়াই এই সংখ্যা উল্লেখ করিলাম। ইয়োরোপে যদি গোট ত্রিশেক স্ব-স্ব প্রধান স্বাধীন দেশ থাকিতে পারে, আর তাহাতে যদি একটা তথাকথিত আন্তর্জাতিক হযবরল, গণ্ডগোল বা অরাজকতা বিরাজ করিতেছে এইরূপ না বলা যায়,—তাহা হইলে ভারতবর্ষে গোট