পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ক্ষেত্রেই প্রায় একদম উণ্ট। ইয়োরোপের “নৃতত্ত্বে” হাতে খড়ি হয় বামাত্র “চিচিং ফাক” হইয়। যাইবে । ইয়োরোপ সম্বন্ধে ইয়োরোপীয়ানরা আমাদিগকে যাহা কিছু শিখাইয়াছে অথবা ইয়োরোপ সম্বন্ধে আমরা যাহা কিছু বুঝিয় রাখিয়াছি কিংবা বলিয়া থাকি তাহার প্রায় সবই আগাগোড় ভুল। বিশেষ আশ্চর্য্যের কথ। এই যে, ইয়োরোপের প্রত্যেক প্রদেশের ভিতরকার অসংখ্য অনৈক্য সম্বন্ধে আজ পর্যন্ত ভারতীয় পণ্ডিত বা রাষ্ট্রক মহলে আসল তথ্যপূর্ণ জ্ঞান জন্মিল না। এক একট। তথাকথিত ইয়োরোপীয়ান নেগুন-রাষ্ট্র বিশ্লেষণ করিয়া দেখা যাউক । কি দেখিতে পাই ? প্রায় প্রত্যেকটার ভিতরেই দেখিতে পাই একাধিক ভাষার প্রভাব অথবা আধিপত্য । আবার প্রত্যেকটিতে দেখিতে পাই, একাধিক “জাতির” প্রভাব অথবা আধিপত্য। “জাতি” অনুসারে রাষ্ট্র ইয়োরোপের প্রায় কোথাও নাই । ভাষা হিসাবে রাষ্ট্র ও ইয়োরোপের একপ্রকার কোথাও নাই। প্রায় প্রত্যেক রাষ্ট্রেই বহু ভাষার জয়জয়কার । আবার প্রত্যেক রাষ্ট্রে বহু জাতির ও জয়জয়কার। ইহাই হইল ইয়োরোপের রাষ্ট্র বিধানের গোড়ার কথা । রক্ত ও ভাষা ধরা যাউক ফ্রান্স। ফ্রান্স এমন একটা দেশ যেখানে অনেক বিষয়ে কতকগুলি ঐক্য আছে। ফ্রান্সকে অনেক বিষয়ে আমরা ঐক্যবিশিষ্ট লোকসমষ্টির সুবিস্তৃত জনপদ বলিয়। বিবেচনা করিতে পারি। করিলে বেশী ভূল হইবে না। কিন্তু তবুও বাস্তবিক পক্ষে, ফ্রান্সের “জাতিগত” ঐক্য বা সামঞ্জস্ত নাই বলা উচিত। অাছে “জাতিগত” বৈচিত্র্য। এখানকার লোকসংখ্যা ৪০,৭৫০,০০০। এই কিঞ্চিদৃদ্ধ চার কোট নরনারীর ভিতর ১,৭০০,০০০ জাৰ্ম্মাণ, ১,০০০,০০০ কেণ্ট,