পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালী, ভারত ও জুনিয়া SWり° না। সংসারের অন্তান্ত দেশ, জাতি বা রাষ্ট্রগুলিকে যে মাপকাঠিতে । বিচার করা হইয়া থাকে বাঙ্গালী জাতিকে তাহা হইতে পৃথক্ অথব। তাহার চেয়ে বড় বা কঠিন কোনো মাপকাঠিতে বিচার করিতে যাওয়৷ বেকুবি অথবা 'বজাতি’ ছাড়া আর কিছু নয়। খৃষ্টান সমাজে ধৰ্ম্মের লড়াই এইবার তাহ হইলে ধৰ্ম্মের কথ। কিছু বলি। সবক বাংলার রাষ্ট্রবীরগণ বস্তুনিষ্ঠ ভাবে কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেই দেখিতে পাইবেন যে, রাষ্ট্রগঠনে ধন্মের ঠাই সম্বন্ধে তাহার। অনেক কিছু বুজরুকী শিথিয়াছেন। ইয়োরোপের নৃতত্ত্বে ধৰ্ম্মের দস্তল কিরূপ, ইয়োরোপীয় রাষ্ট্রে ধৰ্ম্মের প্রভাব কতখানি, ইয়োরোপের নরনারীর ভিতর ধৰ্ম্মভেদ কতট গভীর ইত্যাদি বিযয় তলাইয়া মজাইয় বুঝিয়া দেখা দরকার । ইয়োরোপে এমন কোন তথাকথিত “জাতি”-রাষ্ট্র আছে কি যেখানে আমরা বলিতে পারি যে, বাস্তবিক তাহাতে রাষ্ট্রের সীমানা আর ধৰ্ম্মের সীমানা এক, অর্থাৎ এমন কোনো রাষ্ট্র ইয়োরোপে আছে কি যেখানে একাধিক ধন্মের অস্তিত্ব বা প্রভাব নাই ? আমাদের দেশে সাধারণতঃ আমরা বিবেচনা করি যে, ইয়োরোপের দেশগুলিতে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে ভেদাভেদ বা গোলযোগ কিছু দেখা যায় না। সেখানকার রাষ্ট্রগুলিকে সবই একধৰ্ম্মাবলম্বী নরনারীর দেশ বিবেচনা করা আমাদের দস্তুর । আসল অবস্থা ঠিক তাহার উণ্ট । তাবার আমাদিগকে শিখানে হইয়া থাকে যে, আমাদের দেশে যতদিন একাধিক ধন্মের অস্তিত্ব বা প্রভাব থাকিবে ততদিন আমাদের দেশে রাষ্ট্র বা জাতি-রাষ্ট্র বা স্বাধীনতা ইত্যাদি কিছুই আসিতে পারে না। এই মত বৰ্ত্তমান যুগের সমাজদর্শনে একট প্রকাণ্ড মিথ্যা। এত বড় বুজরুর্কী