পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার বিগত ছাব্বিশ সাতাশ বৎসরের ভিতর একটা নয়া বাঙ্গলা গড়িয়া উঠিয়াছে। চোখ খুলিয়া দেখিলেই আমরা বুঝিতে পারি যে, বাঙ্গালী জাতি বাস্তবিক পক্ষে একটা গভীর রূপান্তর পাইয়া বসিয়াছে । এই রূপান্তর আজকাল আর তত বেশ অস্পষ্ট নয় । বাঙ্গলার নরনারী বলিলে ১৯০৫ সনের যুগে আমরা যে ধরণের লোকজন বুঝিতাম, ১৯৩২ সনে একমাত্র সেই ধরণের লোকজনই বুঝি না। নতুন নতুন রঙের, নতুন নতুন রূপের, নতুন নতুন নামের, নতুন নতুন ঢঙের নরনারী বাঙ্গালী জাতের অন্তর্গত, —একথা আমরা তাজ বাঙ্গলা দেশের পল্লীতে পল্লীতে সহরে সহরে আর কলিকাতার মতন কেন্দ্রস্থলেও অহরহ বুঝিতেছি। সোজা কথায়, আমরা আমাদের চোখের সামনে বাঙ্গালীর সামাজিক জীবনে একটা সুবিস্তুত বিপ্লব দেখিতে পাইতেছি । এই সমাজবিপ্লব আরও বাড়িয়া যাইবে, অতি অল্পকালের ভিতরই তারে। গভীরতর রূপে বাঙ্গালীজাতের অলিতে গলিতে আত্মপ্রকাশ করিবে । বাঙ্গালী জগতে মুসলমান শক্তি ১৯০৫ সনের সম সম কালটা একবার কল্পনায় ফিরাইয়া আনা যাউক । দেখা যাউক তখনকার দিনে বাঙ্গালীর সাহিত্যসভায় কোন শ্রেণীর লোক, কোন নামের লোক, কোন রূপের লোক দেখা যাইত। শিক্ষার আন্দোলন