পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ፃ 8 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সুবক মুসলমান বাংলা দেশকে বাঙ্গালী হিসাবে দুনিয়ার রাষ্ট্ৰক্ষেত্রে সমৃদ্ধ করিয়৷ তুলিতেছে । বাঙ্গলার মুসলমান বাঙ্গালী রাষ্ট্রবীর হিসাবে জগতে গৌরবান্বিত হইবার চেষ্টা করিতেছে। মফঃস্বলের যে কোন সংবাদপত্রই খুলি না কেন, – তার কলিকাতার ত কথাই নাই, সৰ্ব্বত্রই—মুসলমান রাষ্ট্ৰকৰ্ম্মীদের নাম হামেসা চোখে পড়ে। বাঙ্গালীর রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলন এই যুগে অার একমাত্র হিন্দ ভাবাপন্ন হয় । বাঙ্গালীর রাষ্ট্রীয় আন্দোলনে মুসলমান প্রভাব হিন্দু প্রভাবের প্রায় সমকক্ষরূপে মর্যাদ। iাভ করতেছে । পাঠশালায় মুসলমান বাঙ্গল দেশের গ্রাম্যপাঠশালা গুলির দিকে একবার নজর ফেলির দেখি । জেলায় জেলায় যে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে সেই সকল বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রাদের সংখ্যা ১৯০৫ সনের তুলনায় অনেক বাড়ির গিয়াছে । সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই । কিন্তু সম্প্রতি আমি এই সংখ্য বুদ্ধির কথা বলিতে চাই না । বলিতে চাই এই ঘে—১৯০৫ সনের গ্রাম্য পাঠশালায় তথল। হাই স্কুলে সে সকল ছাত্র ছাত্রী দেখিতাম তাহার অধিকাংশই হিন্দু। ইস্কুল বলিলে তখনকার দিনে যেন অনেকটা হিন্দ প্রতিষ্ঠানই বুঝা মাইত। তাজ সে কথা আর বলা চলে না। ইস্কুলগুলি এক্ষণে মুসলমান ছাত্র-ছাত্রীদের প্রভাবে হিন্দু-প্রাধান্ত বর্জন করিয়াছে। তাহার পরিবর্তে দেখিতে পাই হিন্দু ছাত্র ছাত্রীর সখ মুসলমান ছাত্র ছাত্রী, মুসলমান ছাত্রের বন্ধু হিন্দু ছাত্র । আগেকার দিনেও ইস্কুলের ছাত্রদের মধ্যে হিন্দুর সঙ্গে মুসলমানের বন্ধুত্ব অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাইত বটে, কিন্তু তখনকার দিনে মুসলমান ছাত্রের সংখ্যা অল্প ছিল বলিয়া হিন্দুতে মুসলমানে বন্ধুত্বের সুযোগ সুবিস্তৃত ছিল না। আজকাল বহুসংখ্যক