পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার V)* @. হিন্দুছাত্র বহুসংখ্যক মুসলমান ছাত্রর সঙ্গে একত্রে গড়িয়া উঠিতেছে। একথা আজকাল কলেজ-জাতীয় উচ্চ শ্রেণীর বিদ্যালয় সম্বন্ধেও থাটে । মফঃস্বলে অথবা কলিকাতায় যে সকল আই এ, আই এস সি, বি এ, বি এস সি কলেজ আছে তাহাদের ভিতর মুসলমানদের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়িয় আসিতেছে। একালের কলেজগুলি একমাত্র হিন্দুদের প্রতিষ্ঠান একথা বলা চলে না। বাঙ্গালী জাতের স্বারস্বত মায়তনগুলি কি পল্লীগ্রামে কি সহরে,—সৰ্ব্বত্রই মুসলমান ছাত্র ছাত্রীর প্রভাবে নতন গড়ন পাইতে বসিয়াছে। হিন্দুর একালে আর কোন প্রকার বিদ্যালয়ে একচেটিয়৷ প্রভাব অথব সুযোগ ভোগ করে না। এমন কি চিকিৎসা বিদ্যালয়, টেকনিক্যাল, এঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য ব্যবস সংক্রান্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মুসলমানের অল্পে অল্পে হিন্দদের সঙ্গে সাহচর্য্য করিতে অগ্রসর হইতেছে। বাঙ্গালী জাতের মুসলমান তাঙ্গ রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের মত শিক্ষা ক্ষেত্রেও তাহার ইজ্জত ক্রমে ক্রমে বাড়াইয়৷ চলিয়াছে। মুসলমানের বঙ্গসাহিত্য এইবার বাঙ্গল সাহিত্যের কথা কিছু বলিব । ১৯০৫ সনের যুগে মে কয়জন বাঙ্গালী মুসলমান বাংলা ভাষায় গদ্য ও পদ্য সাহিত্য সৃষ্টি করিত তাহাদের নাম আঙ্গুলে গণ সম্ভবপর ছিল। কিন্তু ছাব্বিশ সাতাশ বৎসরের ভিতর কি দেখিলাম ? বাঙ্গলা দেশের মফঃস্বলে ও সহরে সে সকল দৈনিক কাগজ চলিতেছে তাহাদের সম্পাদক, সহযোগী, সাংবাদিক ও লেখকদের ভিতর মুসলমান আর নগন্ত নয়। মুসলমানেরা বাংলা সাহিত্যে হাত দেখাইবার দিকে বেশ একটু উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়াছে। বাংলা সাহিত্য মুসলমানদের কৃতিত্বে বৈচিত্র্য লাভ করিতেছে। মুসলমান মস্তিষ্কের দান পাইয়া বাংলা দেশের চিন্তা নানা তরফ হইতে বিস্তৃততর ও গভীরতর