পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

அந்: Vシ°W。 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন হইয়া উঠিতেছে। মুসলমানের বঙ্গসাহিত্য ক্রমশই বাড়িয়া যাইতেছে। মফঃস্বলের বিভিন্ন জেলায় মুসলমান প্রবন্ধলেখক, মুসলমান কবি, মুসলমান গ্রন্থকার সাহিত্যে ইতিহাসে ও অন্তান্ত বিভাগে বেশ উল্লেখযোগ্য রচনা স্বষ্টি করিয়াছে। বিগত ছাব্বিশ সাতাশ বৎসরের বাংলা সাহিত্য সম্বন্ধে যাহারা ঐতিহাসিক গবেষণা করিবেন তাহার একমাত্র হিন্দু লেখকদের রচনার তালিকা দিয়া আর তাহাদের কৰ্ত্তব্য সমাধা করিতে পারিবেন না । তাহাদিগকে সঙ্গে সঙ্গে মুসলমান লেখকদের রচনাগুলিও তালিকাবদ্ধ করিতে বাধ্য হইতে হইবে । দেখা যাইবে যে, মুসলমান লেখকের সংখ্যা ত বাড়িয়াছেই, সঙ্গে সঙ্গে তাহার রচনা কৌশল, চিন্তা প্রণালী তার দার্শনিক অথব৷ কৰ্ত্তব্য প্রচার সংক্রান্ত মতামত সমূহও বাঙ্গালী জাতির আত্মিক উন্নতির সাক্ষী । বাঙ্গালী মুসলমানদের রচিত সাহিত্য বাদ দিলে একালের বাংলা সাহিত্য যারপর নাই দরিদ্র হইয়া থাকিবে । মুসলমানের ইতিমধ্যেই বাংলা সাহিত্যের ভিতর পল্লী কৃষাণের জীবন, মফঃস্বলের যথার্থ বাণী, জন সাধারণের আকাঙ্ক্ষ-অভিলাষ যথেষ্ট বস্তুনিষ্ঠ ভাবে গোট বাঙ্গালা জাতির নিকট খুলিয়া ধরিয়াছে। তাহার সঙ্গে সঙ্গে একটা নবীন ভাবুকতা, একটা তাজা তেজস্বিত, একটা সরস প্রাণবন্ত বাঙ্গালা জাতিকে চিন্তা ক্ষেত্রে এবং কৰ্ম্মের আসরে উদ্বুদ্ধ করিতেছে। বাঙ্গালী জাতি মুসলমানদের নিকট এইরূপ আধ্যাত্মিক শক্তি পাইয়া বিশেষরূপে লাভবান হইয়াছে । কৃষি-শিল্প-বাণিজ্যে মুসলমান এক্ষণে বাঙ্গালী জাতির আর্থিক জীবন সম্বন্ধে দুই একটা কথা বলিব । এই ক্ষেত্রে মুসলমানদের কৃতিত্ব বিশেষ রূপে উল্লেখ যোগ্য। বাঙ্গালী চাষী বলিলে প্রধানতঃ মুসলমানই বুঝায়। বিশেষতঃ পুৰ্ব্ববঙ্গে মুসলমানেরা ত চাষ আবাদে এক প্রকার একচেটিয়া স্থান অধিকার করে । চামীর জীবন