পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার ৩৭৭ ն- **. گیتی سینا میبیه میته ۹ گسی" یا سیا؛ ۔ب۔ -۔" ۔اب یہ" ”- مه * مي٠ ধারণ বলিলে বাংলাদেশে আমরা মুসলমানদের আর্থিক অবস্থাই বুঝিয়া থাকি । বাঙ্গালা জাতি যতই আর্থিক উন্নতির কথা ভাবিতে থাকিবে ততই তাহাকে বিশেষ করিয়া চার্যাদেব অর্থাৎ প্রকারান্তরে বাঙ্গালী মুসলমানদের সুখদু:খ, বাঙ্গালী মুসলমানদের স্বাস্থা, বাঙ্গালী মুসলমানদের ঘর বাড়া ও শিক্ষাবিধান ইত্যাদির দিকেই নজর দিতে হইবে । বস্তুতঃ বিগত ছাব্বিশ সাতাশ বৎসরের স্বদেশী আন্দোলনের ফলে বাঙ্গালী মুসলমানের চাষী হিসাবে বাঙ্গালী জাতির চিস্তা ও কৰ্ম্মের ভিতর কেন্দ্রস্থল হইয় রঙ্গিয়াছে। ১৯০৫ সনের যুগে এই সম্বন্ধে আমাদের জ্ঞান তত নিবিড় ও স্পষ্ট ছিল না । গাজ ক্রমশই বুঝিতে পারিতেছি যে, বাঙ্গালীর আর্থিক উন্নতি বলিলে প্রধানত: বাঙ্গালী চাৰ্মার উন্নতিই বুঝিতে হয় । আর বাঙ্গালী চাষার উন্নতির অর্থই হইতেছে বাঙ্গালী মুসলমানের আর্থিক স্বচ্ছলতা । সুতরাং বাঙ্গালী মুসলমানের প্রভাব বাঙ্গালী জাতির চিন্তায় অহরহ বিরাজ করিতেছে। তাহ ছাড়া জেলা হইতে জেলায় মাল আমদানি রপ্তানীর কাজে মুসলমানের। বেশ তৎপর অথবা অগ্রণী। এদিকে হিন্দু এবং মুসলমানের ভিতর কাহার.কৃতিত্ব বেশী তাহা ষ্ট্যাটিসটিক্সের সাহায্যে মাপিয়৷ জুকিয়া বলা সম্প্রতি কঠিন । অধিকন্তু কলিকাত এবং মফঃস্বলের পাইকারী ও খুচরা দোকানদারের ভিতর মুসলমানদের ইজ্জত অনেক উচু। এই ক্ষেত্রেও হিন্দু আর মুসলমানদের ভিতর কে বড় তাহা মাপিয়া বলা সহজ নয়। বোধ হয় মুসলমানেরাই এই সকল আর্থিক কৰ্ম্মক্ষেত্রে হিন্দুর চেয়ে বেশী লব্ধ-প্রতিষ্ঠ। তাহ ছাড়া ছোট বড় মাঝারি শিল্পকৰ্ম্ম, কুটির-শিল্প কারখানা ইত্যাদির কাজেও মুসলমান পরিচালক, মুসলমান কৰ্ম্মাধ্যক্ষ মুসলমান ধুরন্ধর বাংলা দেশের সর্বত্রই নামজাদা। এই সকল কথা ১৯০৫ সনের • যুগে বাঙ্গালী জাতি বড় বেশ জনিত কিনা সন্দেহ । আজ কালকার আর্থিক বাঙ্গলায় মুসলমান বেপারী, দোকানদার, কৰ্ম্মাধ্যক্ষ