পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○S নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন বৎসর জন প্রতি ১১১,০৫ টন উঠিয়াছিল । কিন্তু ১৯৩০ সনে সংখ্য ছিল ১৩৪ টন । ১৯২৫ সনে খাদে দৈব-ঘটিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০২ । এই বিষয়ে ষথেষ্ট উন্নতি ঘটিয়াছিল বলিতে কঃ বে। কেন না ১৯১৯-২৩ এই পাচ বৎসরের গড়পড়ত দৈব-মৃত্যুর হার ১৭৪ । কিন্তু ১৯৩০ সনে এই সংখ্যা ছিল ২১৭ । সাধারণ মৃত্যু-সংখ্যায় উন্নতি লক্ষ্য করা যায়। ১৯২৩ সনে ফা হাজার মজুরে মরিয়াছিল ১৮১ । ১৯৩০ সনে ১,২৫ জনের মৃত্যু ঘটিয়াছে। ভারতের তিন কেন্দ্রে “আয়রণ ওর” অর্থাৎ ধাতব লোহা বা কাচা লোহা খনি হইতে তোলা হয় । ১৯২৫ সনে ১৪ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৫৫ টন “ওর” উঠিয়াছিল । তাহার ভিতর টাটা আয়রণ অ্যাণ্ড ষ্টাল হবার্কস তুলিয়াছিল ৯৫৭, ৭৫ টন। ২২৭,৭২২ টন উঠে ইণ্ডিয়ান আয়রণ অ্যাণ্ড ষ্টাল কোম্পানীর তাবে । অবশিষ্ট ১৪৬.৮৫৮ টন ভোলে বেঙ্গল আয়রণ কোম্পানী । ধাতব লোহাকে কারখানায় পোড়াহয় “শোধন” করিলে তিনি “পিগ আয়রণ” রূপে পরিচিত হন । সাধারণতঃ লোহা বলিলে এই “পিগ” বা পাকা লোহাই বুঝা হয়। অবশু ঠাল বা ইস্পাত পিগ হইতেও স্বতন্ত্র । পিগ কে ঠাল অবতারে পরিণত করিতে হইলে অনেক “কাঠখড়” খরচ হয় । কারখানায় আর এক প্রকার পাকা লোহা তৈয়ারী হয়, তাহার নাম “ফেরো মাঙ্গানিজ ” নামেই প্রকাশ—এই বস্তুর ভিতর মাঙ্গানিজ মাথা গুজিয়া থাকে । ১৯২৫ সনে এই তিন ধরণের পাকা লোহা ভারতের কোথায় কত উৎপন্ন হইয়াছে নিমের তালিকায় তাহ দেখানো হইতেছে —