পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ԳԵ- নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ইত্যাদির নাম ডাক খুব বড় । বুঝিতে হইলে যে, বাঙ্গালী জাতের ভিতব বৰ্ত্তমানে থব পাকা পোক্ত ও বলিষ্ঠ অঙ্গ হইতেছে মুসলমানদের বণিক সম্প্রদায় । অতএব দেখিলাম “ধৰ্ম্ম-অর্থ-কাম-মোক্ষ" সকল তরফ হক্টতেষ্ট বাঙ্গলার মুসলমান বাঙ্গালী সমাজকে বিগত সিকি শতাব্দীর ভিতর অসংখ্য উপায়ে বাড়াইয়া তুলিয়াছে । বাড়তির পথে বাঙ্গালী জাতির এই যে অভিযান সেই অভিমানে বাঙ্গলাব নরনবী মুসলমানের শক্তিতে প্রবল হইয়া উঠিতেছে । বাঙ্গল দেশকে বাঙ্গালা মুসলমান বাঙ্গালী হিন্দুর মতনই নিজ ভাবুকতার কৰ্ম্মক্ষেত্র, নিজ কৃতিতের গোবব কেন্দ্র, নিজ ধন দৌলতের ভোগ ভূমি রূপে গড়িয়া তুলিতেছে। ১৯৩০-৩২ সনের বাঙ্গালী জাতি ১৯০৫ সনের বাঙ্গালী জাতি হইতে যে অনেক দফায়ই স্বতন্ত্র ক্ষার এই স্বাতন্ত্র্যে যে মুসলমানদের কৃতিত্ব অনেক বেশী তাহ। একালের প্রত্যেক 秀 বঙ্গালী জনসেবক, অর্থশাস্ত্রী এবং সমাজ-গবেসকের নিকট একট। মস্ত বড় আবিষ্কার বিশেষ । মুসলমানদের প্রভাবে বাঙ্গালী জাতির আবহাওয়৷ বদলাইয়। গিয়াছে এবং ভবিষ্যতে আরো বদলাইয়। যাইবে । বাঙ্গালী জাতি একটা বিপুল সমাজবিপ্লবের ভিতল দিয়। অগ্রসর হইতেছে । এই তথ্য স্বাকার করিয়া লইয়া এখন হইতে তামোদিগকে নয়া বাঙ্গলার জন্ত সকল প্রকার রাষ্ট্রক, আর্থিক ও সামাজিক মূসাবিদ কায়েম করিতে তইবে । নয়া নয়। হিন্দু পদবীর অভু্যদয় মুসলমান শক্তি ছাড়া আরো অন্যান্ত তরফ হইতেও বাঙ্গালী জাতির রূপান্তর সাধিত হইতেছে । বাঙ্গালী হিন্দ নরনারীর কাজ কৰ্ম্ম দেখিলেই অবস্থা-পরিবর্তনটা লক্ষ্য করিতে পারি। আবার সেই ১৯০৫ সনের সম সম কাল আলোচনা করা যাউক । তখনকার দিনে বাঙ্গালী হিন্দুর ভিতর