পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গ-সমাজের রূপান্তর ও নিরক্ষরের অধিকার ○"> যাহারা সাৰ্ব্বজনিক কাজ কৰ্ম্মে, সাহিত্য সেবায়, জাতীয় জীবনের অন্যান্য কৰ্ম্মক্ষেত্রে নামজাদ ছিল, তাহারা কেহ বা ঘোষ, কেহ বা বস্তু, কেহ বা চট্টোপাধ্যায়, কেহ বা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেহ বা সেন, কেহ বা গুপ্ত ইতাদি পদবীর লোক ছিল । অর্থাৎ হিন্দু জাতি ব্যবস্থার তথাকথিত উচ্চ জাতীয় লোকই সেকালের বাঙ্গালী হিন্দু সমাজে উল্লেখযোগ্য কাজ করিত। ছাব্বিশ সাতাশ বৎসরের ভিতর এদিকে অনেক পরিবর্তন দেখিতে পাইতেছি । আজকাল যে সকল হিন্দু পরিবার দেশের বিভিন্ন কৰ্ম্মক্ষেত্রে উল্লেখযোগ কাজ করিতেছে তাতাদের পদবীগুলি এখন আর একমাত্র ঐ রূপ নয়। যে কোন খবরের কাগজই দেখি না কেন, কি মফঃস্বলের কি সহরের সকল কাগজেই লোকজনের নামের ভিতর নতুন নতুন পদবার সাক্ষাৎ পাই । হাজার হাজার লোক ১৯২৯-৩০ সনের পরবন্তী যুগে জেলে গিয়াছে। তাহদের নামগুলি দেখিলেই একথাটি বেশ বুঝিতে পারি। তাহাদের পারিবারিক পদবী সে ধরণের সেই ধরণের পদবী আমরা ১৯০৫ হইতে ১৯১০ সনের যুগে বাঙ্গালী সাৰ্ব্বজনিক জীবনের আবহাওয়ায় বড় একটা দেখিতাম না। বস্তুতঃ বাঙ্গালী হিন্দু সমাজেব ভিতর মে কত বিচিত্র রকমের পদবী আছে তাহা আমর। এই সিকি শতাব্দার ভিতর ক্রমে ক্রমে অনেকটা বুঝিতে পারিতেছি। হিন্দু পারিবারিক বংশ-বৈচিত্র্য একালের রাষ্ট্রক ও অন্যান্ত সামাজিক মজলিসে একটা নুতন শক্তিরূপে দেখা সইতেছে। এই পদবী-বৈচিত্র্য অর্থাৎ নয়া নয়। পদবীর অভু্যদয় একমাত্র কংগ্রেস কনফারেন্স ব্যবস্থাপক সভা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই সংযুক্ত নয়। ইস্কুল কলেজের ছাত্র-তালিকায়ও এইরূপ নয়। নয়। পদবীর সাক্ষাৎ পাই । পল্লীগ্রামের পাঠশালায় অথবা কলিকাতার কলেজে যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা লেখাপড়া করিতেছে তাহাদের পদবীগুলি আজকাল নতুন