পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন ج مراعا جسے__ -- নয় । তাহাদিগকে সহজে পাহাড়া বুনো অথবা এই ধরণের তথাকথিত সভ্যতার গণ্ডীর বহিভূত জনপদের অধিবাসী বিবেচনা করা হয় । বাংলাদেশের উত্তর দক্ষিণ পূৰ্ব্ব পশ্চিম প্রত্যেক জনপদে এই ধরণের আদিম জাতির বাস আগেও ছিল এখন ও আছে । বিশেষ কথ। এই যে, তাহার। স্বদেশী আন্দোলনের পরবর্তী যুগে বাংলা দেশের জেলায় জেলায় বাঙ্গালী নরনারীর ঘনিষ্ঠ সংশ্রবৈ আসিয়া পড়িয়াছে । বিশেষ ভাবে যে সকল জিলা পাহাড়ী জনপদের লাগাও—যথ ময়মনসিংহ, জলপাইগুড়ি, বারভূম, বৰ্দ্ধমান ইত্যাদি—সেই সকল জেলায় এই অ-বাঙ্গালী, অ-হিন্দু, ত-মুসলমান পাৰ্ব্বত্য তথব| বন্য জাতির প্রভাব বিশেষরূপেই লক্ষ্য করিতে পারি । এই জাতিগুলিকে পশ্চিম ও উত্তর বঙ্গে প্রধানতঃ সাওতাল জাতীয় বিবেচনা করা যাইতে পারে । পূর্ববঙ্গ অঞ্চলে তাহাদিগকে সহজে গারে খাসিয়া ও অন্তান্ত আসামের পাহাড়ী জাতি বল। তে পারে। এই সকল জার্তায় নরনারা পূৰ্ব্বে অনেকট। দূরে দূরে থাকিত । কিন্তু ক্রমশঃ তাহার। বাঙ্গালী জাতির হিন্দু-মুসলমানের সঙ্গে একত্র অথব৷ পাশাপাশি চাষ তাবাদের কাজে লাগিয়া গিয়াছে। ट्रे ما تعني چينه * “আদিম” ও হিন্দুমুসলমানের আর্থিক লেনদেন বাঙ্গল দেশের চাধা বলিলে এখন আর কেবল মাত্র মুসলমান অথবা হিন্দু ও মুসলমান বলা চলিবে না। বাঙ্গালী চাযার ভিতর এই অবাঙ্গালী তাদিম পাৰ্ব্বত্য জাতীয় চার্যাও তান্ততম । বাংলা দেশের ধনদৌলত স্মৃষ্টির কাজে এই সকল আদিম জাতির কৃতিত্ব এই যুগে খুব বড় । ইহাদের প্রভাব এখনও প্রচুর পরিমাণে বাঙ্গালী জাতির জননায়কগণের নিকট মালুম হইয়াছে কিনা সন্দেহ । কিন্তু এই সকল আদিম জাতির শক্তি বাঙ্গালী সমাজকে অর্থনৈতিক তরফ হইতে একটু বড় গোছের রূপান্তর